পিবিএ ডেস্ক: ইউটিউব একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় অ্যাপ। এখানে নতুন ছবির টিজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ভিডিয়ো যেমন দেখা যায়, তেমনই শোনা যায় গানও। আবার রান্না থেকে শুরু করে বিভিন্ন ভিডিয়ো আপনি আপলোডও করতে পারেন। তবে ইদানীং সাইবার অপরাধ, কপিরাইট লঙ্ঘন, শিশু পর্নোগ্রাফির মতো বিষয়গুলো এত সংবেদনশীল হয়ে উঠেছে যে ইউটিউব এ নিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ করেছে।
জেনে নিন কোন কোন ভিডিও আপনি আপলোড করতে পারেন না:
১. এমন কোনও বিষয় যা শারীরিক ও মানসিক ভাবে অন্যের ক্ষতি করে, তেমন কোনও ভিডিয়ো ইউটিউবে দেওয়া যায় না।
২. বিভিন্ন রকমের প্র্যাঙ্ক যা কোনও ব্যক্তির মানসিক অবসাদের কারণ হতে পারে, সেই ধরনের ভিডিও আপলোড করা যাবে না।
৩. কী ভাবে বোমা তৈরি করা হয়, তা সে ঘরোয়া পদ্ধতিতেই হোক না কেন, এমন ভিডিও আপলোড করা যায় না।
৪. কোকেন বা ড্রাগস কী ভাবে তৈরি করা হয়, এমন ভিডিও দেওয়া যাবে না।
৫. রোগা হওয়ার সহজ উপায় অথবা কী খাবার খেলে ওজন কমানো যাবে, এমন কোনও ভিডিও যা মানুষের আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়, তা আপলোড করা যাবে না।
৬. কোনও প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে পারে বা স্কুল-কলেজে ঘটে যাওয়া কোনও ঘটনার ভিডিও আপলোড করা যাবে না।
৭. কী উপায়ে চুরি করা সহজ, তেমন ভিডিও আপলোড করা যাবে না।
৮. কোন পদ্ধতিতে সাইবার অপরাধ করা যায় অর্থাৎ কপিরাইট বা হ্যাকিং অথবা অন্যের পার্সোনাল ডেটা কী ভাবে জেনে নেওয়া যায়, এই সব ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করা যায় না।
এখন থেকে ইউটিউবে এমন কোনও ভিডিও আপলোড করা যাবে না যেখানে হ্যাকিং বা সাইবার অপরাধ অথবা চুরি করার মতো বিষয় রয়েছে। ইউটিউবের তরফে জানানো হয়েছে, এই ধরনের ভিডিও আপলোড করলে তা সঙ্গে সঙ্গে বাতিল করা হবে। শুধু তাই নয়, ইউজারের উপর ইউটিউব নজরদারি চালাবে। প্রয়োজনে আপনার চ্যানেলটি নিষিদ্ধও করে দিতে পারে ইউটিউব।
পিবিএ/এমএসএম