মোহাম্মদ আলম : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কোভিড সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার অত্যন্ত সফল। প্রতিদিনই সংক্রমন কমছে। তবে সতর্কতা ও সচেতনতা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত।
বাংলাদেশে কোভিড আক্রান্ত সংখ্যা দুই মাসের মধ্যে গতকালই ছিল সব থেকে কম শনাক্ত করনের দিন। এটা একটা ভাল খবর। স্বস্তির খবর। তবে পথে বেরুলে অনেক মানুষের মাঝেই গাছাড়া ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। যতক্ষণ করোনা প্রাদূর্ভাব সম্পূর্ণরুপে না যাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই হবে উত্তম।
সাধারণ মানুষ যে করোনাকে আর কিছু মনে করছে না তার নজির নিজে চোখেই দেখলাম। গত বুধবার রাজধানীর ফার্মগেট থেকে উত্তরা এলাম দ্বিতল বাসে। বাসের ভিতর মানুষ দিব্যি অন্য সময়ের মতই স্বাভাবিক গা ঘেষাঘেষি করে দাড়ানো ছিলো। একজন নারী জোড় প্রতিবাদ করে। কিন্তু বাসের কন্ডাক্টরের কিছু করার ছিলো না। কারন অফিস ছুটিতে বাসার উদ্দেশ্যে ফেরা মানুষকে কোনভাবেই আটকানো যাচ্ছিল না। যেখানেই লোক নামার জন্য বাস থামে অমনি হুড়োহুড়ি করে মানুষ উঠে বসে। যাত্রিদের মাঝে অনেকের মুখেই কোন মাস্কও ছিলো না।
এটা মানতে হবে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে কোভিড সংক্রমণ এবং মৃত্যুহার মহামারি আকার ধারন করেনি। সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ এবং জনসাধারণের মানসিক শক্তি করোনাকে পরাজিত করেছে। সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কথাই সত্য হলো, বাঙালি করোনার চাইতেও শক্তিশালি। দূর্যোগ এবং নানান সামাজিক প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে করতে বাংলাদেশের মানুষের মনোবল অনেক শক্ত। তাই খুব সহজেই করোনা প্রতিরোধের মত শক্তি ও মনোবল দেখিয়েছে। মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়াহ।
তারপরও ফের স্মরণ করাতে চাই। সংক্রমণ সংখ্যা কমেছে। তবে পরীক্ষা অনুপাতে সংক্রমণের হার বেশী। তাই গড্ডালিকা প্রবাহে ভাসবেন না। সর্তক ও সচেতন হোন। আসুন সরকারি ও বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।
পিবিএ/এমএ