
পিবিএ,ঢাকা: গতকাল যাত্রাবাড়ী থানাধীন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার এর সায়েদাবাদ টোল প্লাজার উত্তর পাশের ঢালে‘‘ট্রাক কন্টেইনার ও কম্পোক্টর হেলপারদের কেন্দ্রীয় হাজিরা ঘর ভবনের ’’ সামনে রাস্তা থেকে দুজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন,গাড়ীচালক মো. মঞ্জুর আলম (৩০) ও গাড়ীর হেলপার তরিকুল ইসলাম রাজন (২৯)। এসময় তাদের কাছে থেকে ৩৪ কেজি গাঁজাসহ ১টি কাভার্ডভ্যান উদ্ধার করা হয়।
রোববার ২৫ ডিসেম্বর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঢাকা মেট্রোঃ কার্যালয় (উত্তর) এর উপপরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (উত্তর) এর পরিদর্শক, তমিজ উদ্দিন মৃধার নেতৃত্বে রমনা সার্কেলের সকল স্টাফের সমন্বয়ে একটি বিশেষ টিম পরিচালনা করে ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি জানান, চক্রটিকে যেভাবে গ্রেফতার করা হয় আমাদের কাছে তথ্য ছিল বিভিন্ন কোম্পানীর কোমল পানীয় পরিবহনের আড়ালে একটি চক্র হবিগঞ্জ ও সিলেট হতে গাঁজার বড় চালান সংগ্রহ করে ঢাকা, গাজীপুর ও সাভার-এর ডিলারদের কাছে পাইকারী দরে বিক্রি করতো।
সে মোতাবেক তথ্য সংগ্রহপূবক আমরা অবগত হই’যে চক্রটি গাঁজার একটি বড় চালান নিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করবে এবং আমরা তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণপূর্বক যাত্রাবাড়ী থানাধীন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার এর সায়েদাবাদ টোল প্লাজার উত্তর পাশের ঢালে ‘‘ট্রাক কন্টেইনার ও কম্পোক্টর হেলপারদের কেন্দ্রীয় হাজিরা ঘর ভবনের ’’ সামনে রাসত্মায় অবস্থান নেই। যশোর-ট-১১-৩৪৪৪ নম্বরের কাভার্ডভ্যানটি ঘটনাস্থলে পৌছালে গতি রোধ করি এবং ১ নং আসামী মঞ্জুর ও ২ নং আসামী রাজন’কে ৩৪(চৌত্রিশ) কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা জানায় তারা হবিগঞ্জ হতে উক্ত গাঁজার চালানটি সংগ্রহ করে ঢাকায় সরবরাহ করার পরিকল্পনা করেছিল। চক্রটি নিজেদের আড়াল করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পণ্য পরিবহনের আড়ালে গাঁজার বড় চালান পরিবহন করতো বলে জানিয়েছে। এর পূর্বেও তারা গাঁজার একাধিক চালান সরবরাহ করেছে বলে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে।
এই চক্রের একাধিক সদস্যের নাম ও পরিচয় পাওয়া গেছে। সে সব তথ্য বিশেস্নষণপূর্বক পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।