কোম্পানীগঞ্জে গরিবের চাল খাচ্ছে ইউপি সদস্য

পিবিএ,নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি ধরে বিক্রির জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত চাল বিক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।নিম্ন আয়ের মানুষ ও গরিবের জন্য বরাদ্ধকৃত এ চাল কারসাজি করে খোদ একাধিক ইউপি সদস্য খাচ্ছে। এ নিয়ে হতদরিদ্র সুবিধাভোগীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে এবং এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নে। রামপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কাবিল মিয়ার বাড়ির জহুরা আক্তার জানান, “সুবিধাভোগীর মূল তালিকায় নাম থাকলেও, আমি কিন্তু সরকারের এ বিশেষ সুবিধা পাচ্ছি না। তিনি আরো জানান, আমাকে তিনবার চাল দেওয়ার পর আর দিচ্ছে না। রামপুর ইউপির ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য ফারহানা আক্তার পূর্ণিমা ও তার স্বামী আমার নামীয় কার্ডের ২৪০ কেজি চাল ৮ ধাপে তুলে নিয়ে গেছে। এ নিয়ে আমাদের বাড়ির লোকজন হাসাহাসি করছে।

ভুক্তভোগী আরো জানান, এ প্রকল্পের চাল দেওয়ার আগে চেয়ারম্যান মেম্বারদের মাধ্যমে তার নাম বিবেচনা করে উঠে আসে মূল তালিকায়। এ সময় আমিসহ অনেকের হাতে পৌঁছায়নি এসব চাল সংগ্রহের কার্ড। ডিলারদের যোগসাজসে অনেক কার্ডধারীর চাল সুবিধাভোগীদের না দিয়ে ইউপি সদস্য নিজে নিয়ে যাচ্ছেন।

সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা গেছে, ডিলার প্রতিবার সুবিধাভোগীদের নামে চাল তুলছে। তাদের নামে টিপসই ও স্বাক্ষরযুক্ত কাগজপত্র জমা দিচ্ছে খাদ্য অফিসে।এ বিষয়ে অভিযুক্ত রামপুর ইউপির ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য ফারহানা আক্তার পূর্ণিমা’র মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, “এলাকায় গরিব বেশি তাই যার নামেই কার্ড বরাদ্দ হোক আমি শেয়ার করে বিভিন্ন লোকের মাঝে এ চাল বিতরণ করছি।

এছাড়াও উক্ত ইউপি সদস্য , জহুরা আক্তারের নামে বরাদ্দকৃত চাল ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেন এ প্রতিবেদককে। এসময় ইউপি সদস্য আরো জানান, “রামপুর ইউনিয়নে ডিলার চাল ওজনে কম দেয়। ৩০ কেজি চাল দেওয়ার টিপসই নিয়ে ২৫ থেকে ২৬ কেজি চাল দেওয়া হচ্ছে এবং চালের বস্তার মুখ খোলা থাকে।” এলাকাবাসী এই সকল অনিয়ম বন্ধে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের জোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ বলেন, “এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পিবিএ/আরইউ/এমএসএম

আরও পড়ুন...