মেঘ ও বৃষ্টিপাত সম্পর্কে কোরআন মাজিদে বর্ণিত হয়েছে, ‘আল্লাহ আকাশ হতে বারি বর্ষণ দ্বারা মৃতপ্রায় ধরিত্রীকে পুনর্জীবিত করেন; তাতে যাবতীয় জীবজন্তুর বিস্তার ঘটান; এতে ও বায়ুর দিক পরিবর্তনে এবং আকাশ পৃথিবীর মধ্যে নিয়ন্ত্রিত মেঘমালায় জ্ঞানবান জাতির জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৬৪)।
আরও বর্ণিত হয়েছে, ‘আর তিনি আকাশ হতে বারি বর্ষণ করেন, তা দ্বারা তোমাদের জীবিকাস্বরূপ ফলমূল উৎপাদন করেন।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ২২)।
ঝড়ঝঞ্ঝা সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘মহা গভীর সমুদ্রতলের অন্ধকারের মতো, যাকে আচ্ছন্ন করে তরঙ্গের ওপর তরঙ্গ, যার ঊর্ধ্বে মেঘপুঞ্জ, গাঢ় অন্ধকার স্তরের ওপর স্তর, যদি একজন মানুষ হাত বাড়ায় তা আদৌ সে দেখতে পাবে না, আল্লাহ যাকে আলো দান না করেন তার জন্য কোনো আলো নেই।’ (সুরা-২৪ নূর, আয়াত: ৪০)।
আরও বর্ণিত হয়েছে, তিনিই আল্লাহ, যিনি নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডল সৃজন করেছেন এবং আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে অতঃপর তা দ্বারা তোমাদের জন্য ফলের রিজিক উৎপন্ন করেছেন এবং নৌকাকে তোমাদের আজ্ঞাবহ করেছেন, যাতে তার আদেশে সমুদ্রে চলাফেরা করে এবং নদণ্ডনদীকে তোমাদের সেবায় নিয়োজিত করেছেন’- (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ৩২)।
আরেক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘তুমি কি দেখ না আল্লাহ আকাশ থেকে বারি বর্ষণ করেন, অতঃপর ভূ-গর্ভে একে স্রোতাকারে প্রবাহিত করেন’। (সূরা যুমার-২১)
আল্লাহ আরও বলেন, ‘তুমি কি দেখো না, আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন; এরপর পৃথিবী সবুজ-শ্যামল হয়ে ওঠে।’ (সুরা হজ, আয়াত: ৬৩)
বৃষ্টির পানির পবিত্রতা ঘোষণা করে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি আকাশ থেকে বর্ষণ করি পবিত্র পানি। তা দিয়ে মৃত ভূমিকে সঞ্জীবিত করা এবং আমার সৃষ্ট বহু জীবজন্তু ও মানুষকে তা পান করানোর জন্য।’ (সুরা ফুরকান, আয়াত: ৪৮-৪৯)