দেশের বিশাল সমূদ্র ও উপকূলীয় এলাকার নিরাপত্তায় কাজ করা বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ২৯তম আগামীকাল রবিবার। এ উপলক্ষে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
কোস্ট গার্ড সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের নবনির্মিত ছয়টি স্টেশন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সহায়তায় পরিচালিত বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সদর দপ্তরসহ তিনটি জোন, ছয় টি জাহাজ এবং সাতটি স্টেশনে নতুন সংযোজিত ভেসেন্ট সিস্টেমের উদ্বোধন করবেন।
পেশাগত দায়িত্বে বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য ৪০ জন কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা, নাবিক এবং অসামরিক ব্যক্তিদের বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পদক(বিসিজিএম),বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড (সেবা) পদক, প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড পদক (পিসিজিএম) এবং প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড (সেবা) পদক প্রদান করবেন।
১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বর্তমানে দেশের বিশাল সমুদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। দেশের সমুদ্রসীমা ও উপকূলীয় এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণ, জনগণের জানমাল রক্ষা, চোরাচালান, মাদক ও মানব পাচার দমনের পাশাপাশি নানাবিধ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ ও সহায়তা প্রদানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড মানুষের মাঝে নিরাপত্তা ও আস্থার বিশ্বস্ত প্রতীকে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও কোস্ট গার্ডের নিরলস প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর ঝুঁকিপূর্ণ বন্দরের তালিকা থেকে বের হয়ে একটি নিরাপদ বন্দরে পরিণত হয়েছে।
এদেশের সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণ করার জন্য শক্তিশালী কোস্ট গার্ডের কোনো বিকল্প নেই। সময়ের পরিক্রমায় ও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার নিপুণ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে কার্যকর, শক্তিশালী ও সুদক্ষ বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা এগিয়ে নিতে এ বাহিনীর প্রতিটি সদস্য উজ্জীবিত ও বদ্ধপরিকর।