পিবিএ ডেস্ক: ৯১১ সংখ্যাটি নানা কারণেই আলোচিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ার ধ্বংসের কারণে এই সংখ্যাটি বিশ্বব্যাপি কুখ্যাতি অর্জন করেছে। আবার দেশটির ‘ইমারজেন্সি নাম্বার’ও এই ৯১১। কিন্তু এর সাথে ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলির কী সম্পর্ক? আর কেনই বা এই নাম্বারটিকে কোহলির ক্যারিয়ারের ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে গেল আর কেনই বা এটি নিয়ে টুইটারে ঝড় উঠেছে?
আসলে ক্রিকেট হলো কঠিন পরিসংখ্যানের খেলা। এখানে সবকিছুই রেকর্ড হয়ে যায়।
বিরাট কোহলিকে বলা হয় সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন। তিনি ওয়ানডে ক্রিকেটে ১১ হাজার রানের মালিক । মাত্র ৩০ বছর বয়স, এর মধ্যেই নিজের নামের পাশে ৪১টি সেঞ্চুরিও যুক্ত করেছেন। কিন্তু এমন অবিশ্বাস্য রেকর্ডের পাশেই কাকতালিয়ভাবে তার ক্যারিয়ারে যুক্ত হয়ে গেছে ৯১১ নাম্বারটি। আসলে এই তিনটি সংখ্যা হলো কোহলির সর্বশেষ তিন বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের রানের সংখ্যা, যা তার জন্য এক বিরাট লজ্জার বিষয়।
বুধবার (১০ জুলাই) ২০১৯ বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে কিউইদের বিপক্ষে মাত্র ১ রানে আউট হয়েছেন কোহলি। এর আগে ২০১১ বিশ্বকাপে পাকিস্তান ও ২০১৫ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনি যথাক্রমে ৯ ও ১ রানে আউট হয়েছিলেন।
আর এ কারণেই ৯১১ নিয়ে এত হৈচৈ।
রবিন নামের একজন শেষ তিন বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে কোহলির ইনিংস উল্লেখ করে টুইট করেছেন, ‘এটাই এখন চলছে, বন্ধুরা!!! ভারতের জন্য ৯১১।’
রোহিত ঠাকুর নামে একজন লিখেছেন, ‘বিরাট একজন বড় কিংবদন্তি। ৩ সেমির স্কোর- ৯, ১, ১। অবশ্যই এটা ইমারজেন্সির জন্য (৯১১)।’
রৌমেন লিখেছেন, ‘বিরাটের ২ সেমিফাইনাল স্কোর ২০১১-৯, ২০১৫-১, ২০১৯-১। ৯১১, ইমারজেন্সিতে কল করেন। ওহ, দুঃখিত এটা ভারত, ইউএস নয়।’
ওয়ানডেতে ৫৯.৭০ গড়ের মালিক কোহলি এবারের আসরের সেমিতে টিকতে পেরেছেন মাত্র ৬ বল। কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্টের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে অবশ্য রিভিও নিয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। কিন্তু রিল্পেতে দেখা যায় বল লাইনেই ছিল আর স্ট্যাম্পের বেল স্পর্শ করতো। ফলে রিভিও নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি ড্রেসিং রুমের পথ ধরতে হয় তাকে।
২০১১ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের পেসার ওয়াহাব রিয়াজের বলে আউট হওয়ার আগে ৯ রান করেন কোহলি। ২০১৫ বিশ্বকাপে অজি পেসার মিচেল জনসনের বলে উইকেটরক্ষক ব্র্যাড হাডিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১ রান।
পিবিএ/এএইচ