ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে যে ৭টি মসলা

পিবিএ ডেস্ক: ঐতিহাসিকভাবেই মসলা খাবারের সুগন্ধ বৃদ্ধিকারী এবং ঔষধই গুণের জন্য সুপরিচিত। হ্যাঁ, আমাদের পরিচিত এই মসলাগুলোই ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। এই মসলাগুলোতে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে তা কেমোপ্রোটেক্টিভ ইফেক্ট প্রদান করে। মসলাগুলো সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জেনে নিই চলুন।

১। রসুন

আপনার খাদ্যতালিকায় রসুনের অন্তর্ভুক্তির অর্থ আপনার ব্রেস্ট ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, স্কিন ক্যান্সার, জরায়ুর ক্যান্সার, খাদ্যনালীর ক্যান্সার এবং ফুসফুস ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। রসুনে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে এবং এটি নাইট্রোস্যামাইন এর গঠনে বাঁধা প্রদান করে। যা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী বৃদ্ধির জন্য দায়ী।

২। আদা

আদায় জিঞ্জেরলস ও জিঞ্জেরন থাকে যা ক্যান্সার প্রতিরোধ ও নিরাময়ে প্রধান ভূমিকা রাখে। আদার অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান প্রদাহ কমাতে ও ক্যান্সারের ঝুঁকি বিশেষ করে প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

৩। জাফরান

খাবারে অনন্য রঙ তৈরি করার জন্য জাফরান ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া জাফরান ত্বকের রাসায়নিক প্ররোচক কার্সিনোজেনেসিস দমনে সাহায্য করে। এছাড়াও জাফরানের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও উদ্বায়ী যৌগ ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিকে প্রতিহত করে এবং ক্যান্সার নিরাময়ে সাহায্য করে।

৪। এলাচ

গবেষণায় জানা যায় যে, এলাচে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে এবং অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি, অ্যান্টি-প্রোলিফেরাটিভ ও প্রোএপোপটোটিক কার্যকারিতার জন্য কার্সিনোজেনেসিসকে বাঁধা প্রদান করে। এছাড়াও এলাচ ডিটক্সিফাইং এনজাইমের কার্যাবলী বৃদ্ধি করে এবং লিপিডের পেরোক্সিডেশন কমায়।

৫। জিরা

জিরাতে প্রচুর পরিমাণে থাইমোকুইনোন থাকে যার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি এবং কেমোপ্রোটেক্টিভ গুণ আছে। এই উপাদানগুলো ওভারিয়ান ক্যান্সার, অষ্টিওসারকোমা ও কলোরেক্টাল ক্যান্সারের জন্য দায়ী টিউমার কোষের বৃদ্ধিকে কমায়।

৬। লবঙ্গ

ট্যানিন, টারপেনয়েডস এবং ইউজেনল নামক বায়োএক্টিভ উপাদানে ভরপুর লবঙ্গ ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি শুধু কোষের ডিটক্সিফিকেশনেই সাহায্য করেনা বরং ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর উপাদানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য কোষের সামর্থ্য বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।

৭। দারচিনি

ফ্রি র‍্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে দারচিনির গ্লুকোজ-৬-ফসফেট ডিহাইড্রোজেনেজ এনজাইম। হেলিকোবেক্টার পাইলোরি নামক ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে কমাতে পারে দারচিনির নির্যাস। এই ব্যাকটেরিয়া বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সার যেমন- প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার, গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার ও লিম্ফোমার রিস্ক ফ্যাক্টর হিসেবে পরিচিত।

পিবিএ/ইকে

আরও পড়ুন...