পিবিএ ডেস্ক: হুমায়ূন আহমেদ যে ক্যান্সার হাসপাতাল করতে চেয়েছিলেন সে স্বপ্নটা অনেক বড়। ক্যান্সার হাসপাতাল করা আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়। এ হাসপাতাল নির্মাণ করতে হলে সবার সহযোগিতা দরকার। স্বামীর স্বপ্ন ক্যান্সার হসপিটাল নির্মাণ প্রসঙ্গে বলেছেন মেহের আফরোজ শাওন ।
বুধবার স্বামী জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক ও লেখক হুমায়ূন আহমেদের৭১তম জন্মদিনে গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে এসে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে শাওন এসব কথা বলেন।
শাওন বলেন, স্বপ্নের নুহাশপল্লীতে একটি স্মৃতি যাদুঘরের জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এর একটি ডিজাইনও করা হয়েছে। আমি নিজে একজন স্থপতি হিসেবে হুমায়ূন আহমেদের সমাধির ডিজাইন ও একটি স্কুলের ডিজাইন করেছি।
শাওন আরো বলেন, যাদুঘর করার ব্যাপারে পরিবারের সবার সম্মতির জন্য অপেক্ষা করছি। বিষয়টি হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের সবাইকে জানানো হয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই আমরা সম্মতি পাব এবং হুমায়ূন আহমেদ স্মৃতি যাদুঘর নির্মাণ শুরু হবে।
তিনি জানান, শিক্ষা বিস্তারের ব্যাপারে হুমায়ূন আহমেদের একটা প্রচণ্ড আগ্রহ ছিল। ওনার গ্রামে কোনো মাধ্যমিক স্কুল ছিল না। সে হিসেবে তিনি তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া কুতুবপুরে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার মায়ের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য। এ স্কুলটির নাম শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ। হুমায়ূন আহমেদের ৭১তম জন্মদিনে সবচে বড় যে সুখবর সেটা হচ্ছে শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ স্কুলটি নিন্ম মাধ্যমিক পর্যন্ত এ বছর এমপিওভূক্ত হয়েছে।
এর আগে নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের কবর জিয়ারত, ফাতেহা-পাঠ ও মোনাজাত করেন। পরে নুহাশপল্লীতে হোয়াইট হাউসের পাশে স্থাপিত হুমায়ূন আহমেদের ম্যুরালের সামনে আপেল গাছ তলায় হুমায়ুন আহমেদের ৭১তম জন্মদিনের কেক কাটে তার দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিত।
এসময় শতাধিক হুমায়ূনভক্ত ভক্ত, গণমাধ্যমকর্মী ও নুহাশপল্লীর কর্মচারীরাসহ এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে তাকে সমাহিত করা হয়।
পিবিএ/জেডআই