ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন থেকে ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে পদত্যাগ করলেন পারভেজ রেজা।
ফেসবুক পোস্টটি আমি সরাসরি তুলে ধরলাম-
প্রিয় সহকর্মী সদস্যবৃন্দ,
আমি পারভেজ নাদির রেজা, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ২০০৮ সাল থেকে। আমি মনে করি বর্তমান কমিটি সংগঠনের নাম ব্যবহার করে, তাদের কর্মকান্ডের মাধ্যমে পুরো সাংবাদিক সমাজকে সাধারনের মানুষের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। তাদের এই অনৈক কর্মকান্ডের কারনে আমার পরিবার, স্বজন এবং বন্ধুদের কাছে হেয় হয়েছি। সবারই একটাই প্রশ্ন আমরা সাংবাদিকরা ব্যক্তিগতভাবে এবং সাংগঠনিকভাবে টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছি কিনা? তাদের এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে নাই? তাই দিতেও পারি নাই। এরপর অনেকে এটাও জানতে চান, এই সংগঠনের সদস্য হিসেবে আমার পকেটে কত টাকা এসেছে এবং সাধারন মানুষের বিশ্বাস আমরা সবাই আনভির সোবাহানের টাকার ভাগ পেয়েছি। ফেসবুকে সংগঠনের নাম ক্রাইম সাপোর্টার অ্যাসোশিয়েশন লিখে ট্রল করা হচ্ছে। বিভিন্ন বিশিষ্ট জনরা এ বিষয়ে ফেসবুকে তাদের উষ্মা প্রকাশ করছেন। সাধারন মানুষের কাছে সাংবাদিকদের সম্পর্কে এমন ধারনা তৈরিতে আমার যেসব নেতারা কাজ করেছে তাদের প্রতি একরাশ ঘৃণা। এরচেয়ে বেশি কিছু করার সুযোগ যেহেতু আমার নাই তাই ঘৃণা জানানোই সবচেয়ে উত্তম বলে মনে করছি।
যে নেতারা টাকার নেশায় সময়, প্রেক্ষিত ও মাত্রাজ্ঞান ভুলে যান, তারা নেতৃত্ব দেবারও সব যোগ্যতা হারায় । তাই এই কমিটির কোন সদস্যকেই আর সংগঠনের নেতা হিসেবে মানছি না। তাদের প্রতি অনাস্থা আনলাম। যদি আগামি ৭ দিনের মধ্যে বিশেষ সাধারন সভা না ডেকে তারা তাদের আস্থাহীনতার ভোটাভুটি না করেন, তাহলে এই কমিটি থাকা অবস্থায় সংগঠনের সাধারন সদস্য হিসেবে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিলাম। আর যদি তারা আস্থা ভোটে জিতে যান, তাহলে পুরোপরি এই সংগঠন থেকে আমার সাধারন সদস্য প্রত্যাহার ধরে নিতে হবে। কারন তখন বুঝে নেবে “সবকিছু নষ্টদের দখলে চলে গেছে বা আমি নিজেই নষ্ট হয়ে গেছি”।
নিয়ম অনুযায়ি এটা আবেদন আকারে সভাপতির কাছে দেবার কথা। কিন্তু গত ২ জুন বর্তমান কমিটি যে কাজ করেছে, তাতে করে তাদের কাছে এমন আবেদন জানাতেও রুচি বোধে বাঁধছে। তাই এটি মুলত সবাইকে অবহিতমুলক খোলা চিঠি।
বিনয়সহ
পারভেজ নাদির রেজা