পিবিএ স্পোর্টস ডেস্ক: ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভারতের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে বাংলাদেশ। আর ড্র মেনে নিতে পারছে না দেশটির ভক্ত ও মিডিয়ারা। আনন্দবাজার পত্রিকায় এ ফলকে নৈতিক হার হিসেবে দেখছে। টুইটারে একের পর এক ট্রল আর সমালোচনায় বিদ্ধ দেশটির ফুটবল। এদিকে জেমি ডে আর জামাল-সাদ উদ্দিনদের প্রসংশায় বিদেশী মিডিয়া।
সাদ উদ্দিনের এ বুনো উল্লাস লাল সবুজের হারিয়ে যাওয়া স্বর্ণালী সময় ফিরে আসার ইঙ্গিত। ৬৩ হাজার দর্শকের সামনে বুক চিতিয়ে লড়াই করা এ বাংলাদেশকে বহুদিন মনে রাখবে সল্ট লেক, মনে রাখবে ভারত। ১৬ কোটি মানুষ এ জাতীয় বীরদের নিয়ে গর্বিত ঠিক উল্টো চিত্র শতকোটির ভারতের। ক্ষোভে ফুঁসছে, শোকে পুড়ছে আবার শেষ মুহুর্তের গোলে মান বাঁচায় স্বস্তির নিশ্বাস ছেড়েছে ভারতের গণ থেকে সামাজিক মাধ্যমগুলো।
আনন্দবাজার পত্রিকা তার মধ্যে একটি। বাংলাদেশের বিপক্ষে এ ড্রকে নৈতিক হার হিসেবে গণ্য করছে তারা। উপচে পড়া দর্শকের সমর্থনেও জিততে না পারার বিলাপ। কলকাতার বাকি পত্রিকাগুলোর প্রতিবেদনের সারমর্ম অনেকটা এরকমই। তবে নিজেদের সমালোচনা করলেও, কোথাও বাংলাদেশের খেলার প্রসংশা করেনি ওপার বাংলার গণমাধ্যমগুলো। বিদেশী গণমাধ্যমে অবশ্য প্রসংশিত হয়েছে বাংলাদেশ দল ও জেমি ডে। তবে টুইটারে যেনো ঝড় তুলেছিলো ভারতীয়রা। দেুশটির ক্রীড়া সাংবাদিক, ভারতের ফুটবল সমর্থক গোষ্ঠী ব্লু পিলগ্রিম, বেঙ্গালুরু ফুটবল ফ্যান গ্রুপ ওয়েস্ট ব্লক ব্লুজসহ সাধারণ ফুটবলপ্রেমীরা ট্রল আর সমালোচনায় মুখর। তবে এর চাইতেও উজ্জ্বল দেশের ফুটবলের উত্থান। জামাল, সাদ উদ্দিন, সুফিলদের দুরন্তপনায় আবারো কেঁপে উঠুক পুরো বাংলাদেশ।
পিবিএ/বাখ