পিবিএ,কয়রা (খুলনা): প্রায় দুই মাসের মত নোনা পানির নীচে ডুবে থাকায় পিলারের রডের গায়ে মরিচা ধরে গেছে। নোনা পানিতে ডুবে ছিল ঢালাইয়ের জন্য রাখা বালুও। সেই বালু দিয়েই মরিচা ধরা রডে ঢালাই দেওয়া হচ্ছে। সেখানে নেই কোন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কার্যসহকারি। স্থানীয় মানুষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এমন অনৈতিক কাজে বাঁধা দিয়েও নিবৃত করতে পারেননি। সোমবার এভাবে পিলার ঢালাইয়ের কাজ করা হয়েছে খুলনার কয়রা উপজেলার ‘ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশন’ ভবনের নির্মাণ কাজে। এসময় সেখানকার নির্মাণ শ্রমিকরা ওই ভবনের সীমানা প্রাচীরের প্রায় ৩০টি পিলার ও ১২০ ফিটের মত বীম ঢালাইয়ের জন্য কাজ করছিলেন।
সেখানে কর্মরত শ্রমিকরা জানান, ঠিকাদারের নির্দেশে তারা কাজ করছেন। খুলনা গণপূর্ত বিভাগ-২ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কয়রা
উপজেলায় এক বিঘা জমির উপর ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৫৫০ টাকা ব্যয়ে ‘ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশন’ ভবন নির্মাণ কাজ
চলছে। মেসার্স রাফিদ ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি করার অনুমতি পায়। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে কাজটি শুরু হয়ে চলতি বছরের ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা। এখন পর্যন্ত কাজটির ২৫ ভাগ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। স্থানীয়
মানুষের অভিযোগ কাজটির শুরুতেই অনিয়ম করে আসছে এ প্রতিষ্ঠানটি। বাঁধা দিয়েও লাভ হয়নি। কাজের ঠিকাদার লাবু শিকদার বলেন, পিলারগুলো করার জন্য প্রাকৃতিক দূর্যোগ আম্পানের আগে রড বাঁধা হয়। আম্পানে বাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন করা যায়নি। এখন পানি
কমে যাওয়ায় দায়িত্বসীল কর্মকর্তার অনুমতিতে ওই পিলার ঢালাই দেওয়া হচ্ছে। কোন সমস্যা থাকলে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। কাজে অনিয়মের ব্যাপারে খুলনা গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারি প্রকৌশলী মশিউর রহমানকে মুঠোফোনে জানানো হলে তিনিও কাজ বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলেন। তবে তার কথামত কাজ বন্ধ না হওয়ায় পরে
আবারও তাকে জানানো হলে তিনি বলেন, নির্মিত পিলারগুলো সকলের উপস্থিতিতে ভেঙে ফেলা হবে। কাজের মেয়াদ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস ও
প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
পিবিএ/এসডি