খাগড়াছড়িতে আঞ্চলিক সংগঠনের দ্বন্দ্বে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন

পিবিএ,খাগড়াছড়ি: পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐহিত্যবাহী ও বড় উৎসব বিজু,সাংগ্রাই বৈসুকে সামনে রেখে পাহাড়ের আঞ্চলিক দলের হুমকিতে চলছে খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কে অঘোষিত হরতাল-বাজার বর্জন। চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সব ধরনের যানবাহন। ফলে পড়েছেন বেকায়দায় স্থানীয় বাসিন্দা। এ দিকে-পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, পাহাড়ের চলমান আঞ্চলিক দলের বিরোধের জের ধরে এলাকায় আধিপত্য,অবস্থান নিয়ে হানাহানি সংঘাত দীর্ঘ দিনে। এরই ধারাবাহিকতায় বিজু বর্জনের ঘোষনা দিয়ে সকল প্রকার যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ও দোকানপাট বন্ধের হুমকিতে স্থবির হয়ে পড়েছে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা থেকে শুরু করে পানছড়ি উপজেলাবাসীর জীবনযাত্রা।

বিগত ২০১৮ সালের ১৯ মে থেকে পানছড়ি বাজার বর্জন চলে আসছিল। এবার বিজুকে সামনে রেখে ২০১৯ সালের ১লা এপ্রিল খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা,স্বনির্ভর থেকে পানছড়ি উপজেলায় এর প্রভাব পড়েছে।

এ ঘটনায় খাগড়াছড়ি ইউপিডিএফ এর সংগঠক অগ্য মারমা পিবিএ’কে বলেন, জেএসএস সংস্কার ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা থেকে শুরু করে স্বনির্ভর হয়ে বিভিন্ন স্থানে দোকানপাট বন্ধ,বাজার বর্জন,যান চলাচলে বাঁধা দিচ্ছে। সাধারণ মানুষ বিজু পালনে বাঁধা দেওয়া ও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিকসহ এ ধরনের পরিস্থিতি উত্তোরনে প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক এর নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক নেতা পিবিএ’কে জানান, পানছড়ি বাজার,নানিয়ারচরসহ বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের বেকায়দায় ফেলে বাজার বর্জন করার প্রতিবাদ করছে সাধারণ মানুষ। খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা,স্বনির্ভর ও পানছড়ি বাজার বর্জন বা যান চলাচলের ঘটনায় ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক এর কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে তিনি জানান। এ সময় তিনি প্রসীত নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফকে বিভিন্ন এলাকার বাজার বর্জনের রাজনীতি বন্ধ করে সাধারণ মানুষের স্বার্থ বিরোধী কাজ বন্ধ করতে আহবান জানান।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান পিবিএ’কে বলেন, বিষয়টি যেনেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

পিবিএ/এএম/হক

আরও পড়ুন...