আল-মামুন,খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলাধীন বুদংপাড়া এলাকার ১৬ বছর বয়সি সোলেমান মিয়ার মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সাশিলী বিচারের মাধ্যমে রফাদফার চেষ্টা মাধ্যমে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে সমাজপতিরা।
গত ১৫ মার্চ ২০১৯ তারিখে নুরনবী তার নিজ বাড়ীতে গিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেছে মর্মে উপস্থিত সমাজের নেতৃবৃন্দদের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে জানা গেছে। এক পর্যায়ে গত ২২ মার্চ রাতে দুই পক্ষকে নিয়ে বুদংপাড়া চা দোকানে বসে এলাকার সমাজপতি (সর্দার)রা।
এতে ছেলের বক্তব্যে মেয়ের সাথে দীর্ঘদিন ভালোবাসা সম্পর্ক চলছিল। মেয়েটি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তা নুরনবী অস্বীকার করেন। সকল প্রমাণাদি পাওয়ায় সামাজিকভাবে ছেলের বাবার কাছে ধর্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে সমাধান চাইলে ছেলের বাবা মেহেদুল মাঝি বলেন, ছেলেকে আইনে সোপর্দ করলে তার করনীয় কিছু নেই।
এতে উপস্থিত ছিলেন বুদংপাড়া সমাজের সর্দার আলাউদ্দীন, ইসলামপুর সমাজের সর্দার খোরশেদ, স্থানীয় আনিছুল হক, মমিনুল হক সহ অনেকে। গত শুক্রবার ঘটনাস্থলে স্থানীয় সাংবাদিক গিয়ে তাদের বক্তব্য রেকর্ড করে বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে অবগত করে।
স্থানীয় ভাবে জানা যায়, ছেলে-মেয়েটি দুজনেই অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের গ্রাম শালিসের মাধ্যমে প্রাপ্ত বয়স্ক হলে বিয়ের কথা বলা হচ্ছে। তবে মেয়েকে ৩ লক্ষ টাকার কাবিন ও দেড় ভরি স্বর্ণ দিয়ে সর্দাররা ফয়সালা চেষ্টা চলছে বলে স্থানীয় একটি বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এতে বুদংপাড়া সমাজের সর্দার আলাউদ্দীন পিবিএ’কে বলেন, ধর্ষিতা মেয়েটির পরিবার খুবই দরিদ্র। মেয়েটি বর্তমান আত্ম সম্মান হানির পর ভবিষ্যত জীবন অন্ধকার হয়ে পড়েছে। তাই এ ব্যপারে সুষ্ঠ বিচার হওয়া জরুরী। এ বিষয়ে গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ বিদ্যুৎ কুমার বড়ুয়া পিবিএ’কে এ বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানান।
পিবিএ/এএম/হক