খাদ্য উৎপাদন-মেয়াদ নিয়ে ভোক্তাদের সাথে মধুবন বেকারীর প্রতারনা

পিবিএ,লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে বেকারি খাদ্য উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণ নিয়ে ভোক্তাদের সাথে প্রতারনার অভিযোগ উঠেছে মধুবন বেকারী এন্ড সুইটস্ এর বিরুদ্ধে। উৎপাদন ও মেয়াদের নির্ধারিত তারিখ না দিয়ে অগ্রিম উৎপাদন ও উত্তীর্ণের মেয়াদ বসিয়ে বাজারজাত করা হচ্ছে।এতে প্রতারিত হচ্ছেন সাধারন ভোক্তারা। তবে বেকারি সংশ্লিষ্টরা অনিয়মের বিষয়টি স্বিকার করেছেন।

গত শনিবার (১৫আগস্ট) লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন অগ্রিম উৎপাদন ও মেয়াদের বেকারী খাদ্য পণ্য বাজারে বেঁচা বিক্রি করতে দেখা যায়।

সরজমিনে দেখা যায়, মধুবন বেকারীর কেক ১৪ ই আগষ্টের উৎপাদিত পণ্যের গায়ে ১৬ তারিখ দেখিয়ে উৎপাদিত পণ্যের মেয়াদ ২৩ আগস্ট দেয়া হয়।
আবার একই পণ্যের উৎপাদন তারিখ এক হলেও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ভিন্ন ভিন্ন!

১৩ আগস্ট উৎপাদিত পণ্যের গায়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ দেখা যায় ২০,২৩,২৮ আগষ্ট।

খাদ্যপণ্যটি মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তাদের দেয়া সিলের কারনে সেটি বাজারে বিক্রয় হচ্ছে। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে ভোক্তারা।

দোকানীরা জানান, মধুবন বেকারি এন্ড সুইটস্ থেকে অগ্রিম তারিখের উৎপাদিত সিল দিয়ে এসব বেকারী খাদ্য সরবরাহ করা হয়। এতে কিছু করার নাই। ভোক্তা চাহিদার কারনে এগুলো বিক্রয় করতে হচ্ছে।

এদিকে কয়েকজন ভোক্তা জানান, তাজা খাবার সরবরাহের নামে ভোক্তাদের সাথে প্রতারনা করছে মধুবন বেকারী। এতে ঝুঁকিতে রয়েছে তাদের স্বাস্থ্য। এতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

অভিযোগের বিষয় স্বীকার করেন, মধুবন বেকারী এন্ড সুইটস্ এর ম্যানেজার শ্যামল বাবু। তিনি বলেন,অগ্রিম তারিখ দেয়া ঠিক হয়নি। ভবিষ্যতে এমন কাজ আর হবে না বলে জানান তিনি।

মধুবন বেকারির মালিক হাবিবুর রহমান খবর পেয়ে তড়িঘড়ি করে শহরে বিভিন্ন দোকান থেকে অগ্রিম তারিখ দেওয়ার কেক গুলো তুলে নেওয়ার সময় সাংবাদিকদিকেরা ছবি তুলতে গেলে বাধা প্রদান করেন।

অতিরিক্ত তারিখ দেওয়ার বিষয় স্বীকার করে বলেন, এটা ডিলারের কারসাজি।

ইতিপূর্বেও এধরনেরর অগ্রিম তারিখ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা মো:মনির হোসেন পিবিএকে জানায়, যারা খাদ্যপণ্যের গায়ে অগ্রিম তারিখ দিয়ে বাজারজাত করেন।এ ঘটনার কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পিবিএ/আলমগীর হোসেন/এসডি

আরও পড়ুন...