খারাপ আবাহাওয়াতে লিচুর ফলন ধ্বংসের মুখে

লিচু
খারাপ আবাহাওয়াতে লিচুর ফলন নষ্টের মুখে

মোঃ তুহিন হোসেন, পিবিএ, ঈশ্বরদী : ঈশ্বরদী লিচুর রাজধানী বলে খ্যাত। এবারে বেশির ভাগ লিচু গাছে মুকুল থাকলেও তা খারাপ আবহাওয়ার কারনে নষ্ট হয়ে গেছে বলে হতাশ বাগান মালিকরা। খারাপ আবহাওয়ার ফলে বিপুল ক্ষতির আশঙ্কায় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন বাগান মালিকরা। ঈশ্বরদীর অনেক পরিবারের সারা বছরের জীবন-জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন এখানকার লিচু। পাশাপাশি ঈশ্বরদীর গ্রামীণ অর্থনীতিতেও লিচুর ফলন বিপর্যয়ের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে স্থানীয় অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন। লিচু বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে অতিবৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়াকে দায়ী করা হয়েছে।
লিচু চাষ লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছরই ঈশ্বরদীতে বাগানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্থানীয় লিচু চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়। এখানে প্রতিবছর তিনশ কোটি টাকার লিচু বিক্রি হয়। কিন্তু এবারের চিত্র সম্পূর্ণই ভিন্ন। গাছে লিচুর মুকুল খারাপ আবহাওয়ার কারনে ঝড়ে পড়ছে। লিচু থেকে বাগান মালিকদের আয়ও এবারে অনেকাংশে কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

খারাপ আবাহাওয়াতে লিচুর ফলন নষ্টে মুখে

ঈশ্বরদীর বিভিন্ন এলাকার বাগান ঘুরে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি লিচুর চাষ হয় সলিমপুর ইউনিয়নের জয়নগর, মানিকনগর, মিরকামারি, জগন্নাথপুর, বক্তারপুর, বড়ইচারা, সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়া, সাহাপুর, বাঁশেরবাদা, ইউনিয়নের কামালপুর চররূপপুর, দাদাপুর চর এলাকায়। এছাড়া নওদাপাড়া, দাশুড়িয়া, মুলাডুলি ও সাঁড়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামেও লিচুর ব্যাপক আবাদ শুরু হয়েছে। এখানে দেশি (আঁটি) লিচু এবং কলম করে বোম্বাই লিচুর চাষ বেশি হয়। চায়না জাতের লিচুর গাছ কম।

Exif_JPEG_420

ফলন কম হওয়ার কারণে চাষি ও ব্যবসায়ীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ঈশ্বরদীর গ্রামীণ অর্থনীতিতেও এর একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।। খারাপ আবহাওয়ার কারনে লিচু ঝড়ে গিয়ে যতটুকুই থাকছে তা চাষিরা খুবই যত্ন নিচ্ছে। লিচু গাছের গুটি গুলা ঠিকভাবে ধরে রাখার জন্য ও বাজার জাত করার জন্য অক্লান্ত ভাবে কাজ করে চলেছে চাষিরা। লিচু গাছে পানি দেয়া থেকে শুরু করে সার বিষ দেয়া নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। প্রতিটি লিচু গাছে পোকাদমন করা কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে।

পিবিএ/টিইউ/জেডআই

আরও পড়ুন...