পিবিএ, ঢাকা : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের দেয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
গতকাল বুধবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই লিভ টু আপিলটি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
আজ বৃহস্পতিবার এই আপিলের বিষয়টি জানিয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘অন্যায্যভাবে বিএনপি চেয়ারপারসনের সাজার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, আমরা শুনানির সুযোগ পাইনি। আমাদের না শুনে রায় দেওয়া হয়েছে, এসব যুক্তিতে আপিল করা হয়েছে। তিনি জানান, আপিলে খালেদার জামিন দাবী এবং সাজা স্থগিত চেয়ে এ আবেদন করা হয়েছে।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আরো বলেন, ‘নিম্ন আদালত এ মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়, কিন্তু হাইকোর্ট সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে দ্বিগুণ করে। সেজন্য আমরা তার জামিন এবং তার সাজার কার্যকর করার আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করেছি।’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ আদালত-৫ খালেদা জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়। সেই সাথে তার ছেলে এবং বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ মামলার বাকি পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই বছরের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদার সাজা ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন।
এছাড়া ৫ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে খালেদা জিয়া এবং ১০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের আপিল খারিজ করেছেন আদালত।
রায় ঘোষণার দিন থেকে পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রয়েছেন বিএনপি প্রধান।
গত ২৮ জানুয়ারি মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে হাইকোর্টের দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি প্রকাশিত হয়।
২০০৮ সালের ৩ জুলাই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে রমনা থানায় এ মামলা দায়ের করে দুদক। এতে, এতিমদের সহায়তার জন্য একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা অনুদানের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
পিবিএ/এএইচ