বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছে তার পরিবার। এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে খালেদা জিয়ার পরিবার এ আবেদন করে। সোমবার (৩ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র।
দলের প্রভাবশালী এক দায়িত্বশীল নেতা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে চিঠিটি দেওয়া হয়েছে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে। সোমবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে কথা বলেছেন।
দলের একটি সূত্র জানায়, বিএনপির উচ্চপর্যায় থেকে সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে।
বিএনপির দলীয় সূত্র জানায়, গত তিন সপ্তাহ ধরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে নিতে চায় খালেদা জিয়ার পরিবার। তবে কোন দেশে কবে নাগাদ নেওয়া হবে এ বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে এখনও সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য জানা যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খালেদা জিয়ার বোন সেলিনা রহমান, তার ভাই শামীম এস্কান্দারসহ একাধিক দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে ফোন করা হলেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ম্যাডামের পরিবারের বিষয়ে আমি কিছু জানি না ।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাতে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরদিন বিএনপি প্রধানের চিকিৎসার জন্য ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। এর আগে গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ওইদিন বিকালে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
২৭ এপ্রিল রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে খালেদা জিয়াকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভার কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গত ১৫ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসন এভার কেয়ার হাসপাতালে সিটি স্ক্যান করান।