পিবিএ,ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করার মাধ্যমে দেশের মৃতপ্রায় গণতন্ত্রকে পুণরুজ্জীবিত করা হবে বলে আশাব্যক্ত করেছেন দলটির মহাসচিন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার(২০ ফেব্রয়ারী) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমে প্রেরিত মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন,
‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আমি ’৫২-র ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তাঁদের রুহের মাগফিতার কামনা করি। অধিকার আদায় এবং অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে ভাষা শহীদগণ আমাদের প্রেরণার উৎস। মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করে তাঁরা আত্মত্যাগের যে গৌরবদীপ্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে। তাঁদের আত্মত্যাগের ধারাবাহিকতায় গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনের পথ বেয়ে আমরা অবতীর্ণ হয়েছি স্বাধীনতা যুদ্ধে। প্রতিষ্ঠিত করেছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
বিএনপি মহাসচিব বলেন,’স্বাজাত্যবোধ ও অধিকারবোধের চেতনা পরিপূর্ণতাদান করেছিল মহান ২১শে ফেব্রুয়ারী। সেই চেতনা নস্যাৎ করে একদলীয় শাসনের জগদ্দল পাথর আজ জনগণের কাঁধের ওপর চাপানো হয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতের নির্বাচনে ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে জনগণকে প্রতারিত করা হয়েছে-যা খোলাখুলি কারচুপির এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত। গণতন্ত্রকে সমাহিত করে এই দু:শাসন দীর্ঘায়িত করতে অবৈধ শক্তির জোরে সাজানো মিথ্যা মামলায় জনগণের প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে বন্দী করে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা হয়েছে।
বাণীতে তিনি আরও বলেন, ‘শহীদের মহিমান্বিত অবদানের কারণে অমর একুশে ফেব্রুয়ারী আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে। জাতি হিসেবে এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আমাদের ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে অধিকতর সমৃদ্ধশালী করে তুলতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। যাতে সমৃদ্ধ সংস্কৃতিসম্পন্ন জাতি হিসেবে আমরা বিশ্ব সভায় মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে পারি।
পিবিএ/বাখ