খিরসাপাত ও ল্যাংড়ার দখলে আম বাজার, ক্রেতা মিলছে না লক্ষন ভোগের

ফাইল ছবি

ওবায়দুল ইসলাম রবি, পিবিএ, রাজশাহী: আমের রাজ্য হিসেবে পরিচিত রাজশাহীর চারঘাটে সুস্বাধূ আম হিসেবে খ্যাত খিরসাপাত(হিমসাগর) ও ল্যাংড়া আমের বাজার উর্দ্ধমুখি হলেও কম মিষ্টি লক্ষনভোগের আম নিয়ে বেকায়দায় চাষী ও ব্যবসায়ীরা। খিরসাপাত ও ল্যাংড়া আমের ক্রেতা দিন দিন বাড়লেও লক্ষনভোগের আম বিক্রি একিবারেই শুণ্যের কোটায়। ফলে গাছেই পেকে পড়ে যাচ্ছে লক্ষনভোগ আম। আর এতে করেই চরম লোকসানের আশঙ্কা চাষী ও ব্যবসায়ীদের।

জানা যায়, চারঘাটে বেশীর ভাগ চাষী লক্ষনভোগের আম বাগান করে থাকেন। আর লক্ষনভোগ আমের ফলন ভালো হলেও স্বাধ ও মিষ্টি কম। তবে আমের রং খুবই সুন্দর। ফলে লক্ষনভোগ আমের বাগানই এ অঞ্চলে বেশী। অন্য দিকে সুস্বাধু ও ব্যাপক মিষ্টি হিসেবে পরিচিত খিরসাপাত (হিমসাগর) ও ল্যাংড়া আমের ফলন কম হওয়ায় এর বাগানও কম। তবে এ আমের ব্যাপক চাহিদা। আর এ কারণে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই শেষ হয়ে যায় এ দুটি জাতের আম।

চারঘাটের অনুপমপুর এলাকার আম চাষী ও ব্যবসায়ী তৌহিদুল ইসলাম জানান, এ অঞ্চলের চাষী ও ব্যবসায়ীরা অধিক ফলনশিল হিসেবে পরিচিতি লক্ষনভোগ আমের বাগান করে থাকেন বেশী। তবে এ আমের রং খুব সুন্দর হলেও স্বাধ ও মিষ্টি কম। ফলে দাম একটু কম। অন্য দিকে সুস্বাধু হিসেবেখ্যাত খিরসাপাত ও ল্যাংড়া আমের চাহিদা ও দাম বেশী হলেও ফলন কম হওয়ায় এর বাগান কম। তবে এ বছর খুব দ্রুত সুস্বাধু খিরসাপাত ও ল্যাংড়া শেষের পথে। এ দুটি জাতের আমের দাম বর্তমানে উর্দ্ধমুখি। বর্তমানে এ দুটি আম প্রতিমন বিক্রি হচ্ছে ২০০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা দাম। সেখানে লক্ষনভোগেরআম কেনার গ্রাহকই নেই। ফলে লক্ষনভোগ আম গাছেই পেকে পড়ে যাচ্ছে। আর সেই গাছে পাকা আম বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১৫ টাকা কেজি দরে। যার প্রতিমন বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা দরে। আর এতে করে চরম লোকসানের আশঙ্কা চাষী ও ব্যবসায়ীদের।

কাকরামারী এলাকার আম চাষি মুজিবুর রহমান বলেণ, বর্তমানে আমের বাজার দখলে রেখেছে খিরসাপাত ও ল্যাংড়া। এ দুটি জাদের আমের ফলন কম হওয়ায় বাজারে এর আমদানি কম। তবে চাহিদা আকাশচুম্বি। আর দাম নিচ্ছে আকাশচুম্বি। তবে লক্ষনভোগের বাজার একবিারেই নেই। যে আমের উৎপাদন বেশী। সেই আমের বাজার কম হওয়ায় ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হবে।

মীরগঞ্জ এলাকার আম চাষী মুনছুর রহমান বলেন, লক্ষনভোগের আমের বাগান এখনও বিক্রি করতে পারিনি। প্রতিদিনই গাছেই পেকে পড়ে যাচ্ছে লক্ষনভোগ আম। সেই গাছে পাকা আম বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা দরে। তাও আবার ফরিয়ারদের ডেকে এনে বিক্রি করা হচ্ছে।

পিবিএ/ওআইআর/জেডআই

আরও পড়ুন...