পিবিএ,ঢাকা: রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় খিলগাঁও গোড়ানে আঃ ওহাব (৪০) নামের পুলিশের এক সোর্সকে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে ও খিলগাঁও ইদারকান্দিতে রুবেল হোসেন (২৯) নামের আরেক যুবককে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ দুটি লাশই উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে।
গতকাল রবিবার দিনগত রাত ১১ টার দিকে খিলগাঁও গোড়ান শান্তিপুর স্কুলের পিছনে একটি মাঠে ইট দিয়ে মাথা থেতলে রাখা হয় ওহাবকে।
নিহতের স্ত্রী সুইটি আক্তার পিবিএ’কে জানান, ঝালকাঠি সদর উপজেলার শিমুলেশ্বর গ্রামের মৃত হাতেম আলীর ছেলে ওহাব। থাকতো খিলগাঁও সিপাহীবাগ উত্তর গোড়ান ২৪৮ নম্বর বাসায়। ২ ছেলের জনক ওহাব।
স্ত্রী জানান, খিলগাঁও থানা পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতো ওহাব। গতকাল বিকেলে বাসা থেকে বের হয় সে। পরে রাত ১০ টার দিকে তার মোবাইলে কল করলে কেউ একজন কল রিসিভ করে ওহাবের আহতের খবর দেন এবং ওহাব ভুইয়া পাড়া ঝিলপারে পড়ে আছে বলে জানায়। পরে স্ত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এসে স্বামীকে দেখতে পান। সেখান থেকে স্ত্রী তাকে পান্থপথের ইউনি হেলথ নামের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৪ টায় সেখানে তার মৃত্যু হয়। তবে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননী স্ত্রী।
খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান পিবিএ’কে জানান, পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতো ওহাব। তার মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। পরে চিকিৎসাধীন একটি ক্লিনিকে সে মারা গেছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকান্ডের বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
এদিকে খিলগাঁও ইদারকান্দি বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদের পশ্চিম পাশের রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয় রুবেল (২৯) নামের ওই যুবকের লাশ। সে রাজ মিস্ত্রীর কাজ করতো। মাদকাসক্ত ছিলো সে।
নিহতের ভাই শাহবুদ্দিন পিবিএ’কে জানান, গতরাত সাড়ে ১২ টার দিকে বাসা থেকে বের হয় রুবেল। এরপর তার বাবা নাজিম উদ্দিন তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে বাসায় আসার সময় রাত সাড়ে ৩টার দিকে মসজিদের পাশের রাস্তায় রুবেলের লাশ দেখতে পায়।পরে খবর পেয়ে খিলগাঁও থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন তার লাশ উদ্ধার করেন। সুরতহাল প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, রুবেলের মাথার পিছনে থেতলানো আঘাত, নাকে ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।কে বা কারা তাকে হত্যা করতে পারে সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি স্বজনরা। বিবাহিত ছিলো রুবেল। এক ছেলে সিহাবকে (১০) নিয়ে তার স্ত্রী স্বপ্না ৫ বছর আগে তাকে তালাক দিয়ে চলে গেছে বলে জানায়।
পিবিএ/এইচএ/হক