বরগুনা, পিবিএ: বরগুনায় রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘গতকাল একটি নৃশংস ঘটনা ঘটেছে বরগুনায়। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি। একজন গ্রেফতার হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এদের আমরা আইনের আওতায় আনবই। এ ধরনের ঘটনা কাঙ্ক্ষিত নয়, মেনে নেওয়ার মতো নয়। আমরা এদের পেছনে লেগেছি, এদের গ্রেফতার করবো, আইনের আওতায় এনে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।’
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল ১১টার দিকে তিনি বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে ওই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বরগুনা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বরগুনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিআইজি বলেন, ‘জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করতে হবে। একটা নৃশংস ঘটনা ঘটলে তার ফলাফল কতটা ভয়াবহ হতে পারে সেটা দেখাতে চাই আমরা। সাধারণ মানুষদের আরও সচেতন হওয়া দরকার। তাহলে এরকম ঘটনা ঘটবে না।’
উল্লেখ্য, বুধবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। তার স্ত্রী আয়শা আক্তার মিন্নি লড়াই হামলাকারীদের সঙ্গে লড়াই করেও তাদের ফেরাতে পারেননি। একাধারে রিফাতকে কুপিয়ে বীরদর্পে অস্ত্র উঁচিয়ে এলাকা ত্যাগ করে হামলাকারীরা। তারা চেহারা লুকানোরও কোনও চেষ্টা করেনি। গুরুতর আহত রিফাতকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। দুই মাস আগে রিফত ও মিন্নির বিয়ে হয়।
এদিকে বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন জানান, রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল ৯টার দিকে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে বরগুনা সদর থানায় এই মামলা দায়ের করেন তিনি। প্রধান আসামি করা হয়েছে খুনের মূল হোতা হিসেবে অভিযুক্ত সাব্বির হোসেন নয়নকে, যে এলাকায় ‘নয়ন বন্ড’ নামেও পরিচিত। মামলার চার নম্বর আসামি চন্দনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পিবিএ/বাখ