খুলনার বটিয়াঘাটায় চার হত্যা মামলার আসামী স্ত্রীসহ ভারতে গ্রেফতার

পিবিএ,খুলনা: খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় চারজনকে হত্যা করে মাটির নীচে পুঁতে রেখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া আসামী গুজরাট প্রদেশের আহমেদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আহমেদাবাদ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ আসামী আজম ফকির (৬০) ও তার স্ত্রী রহিমা খাতুনকে (৫০) আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। খুলনা জেলা সিআইডির ইনসপেক্টর ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার হোসেন রবিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। আটক আজম ফকির বটিয়াঘাটা উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আড়ুয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।

খুলনা সিআইডির ইনসপেক্টর ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার হোসেন, উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা
থেকে ডুমুরিয়ার ইমরান হোসেন খান (২২), দাকোপের কামারখোলা গ্রামের মোস্তফা গাজী (৫০) ও পাইকগাছার
গড়াইখালী গ্রামের রহিম গাজীর (৩৪) কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ইমরান খানের পিতা আসাদুজ্জামান
খান ২০১৬ সালের ১৯অক্টোবর বটিয়াঘাটা থানায় মামলা করেন।

তিনি আরও জানান, ইমরান খানের মা রহিমা খাতুন পালিয়ে এসে বটিয়াঘাটার আড়ুয়াডাঙ্গা গ্রামে বাবার বাড়ি
বসবাসের সময় আযম ফকিরের সাথে দ্বিতীয় বিয়ে করে। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ রহিমা খাতুন আটক করে।
পরে তার দেয়া তথ্যে ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে আযম ফকিরের বাড়ির পিছনের বাগান
থেকে মাটি খুড়ে তিন কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় আযম পালিয়ে ভারতে চলে যায়। পরে রহিমা খাতুন
আদালত থেকে জামিন নিয়ে সেও পালিয়ে ভারতে চলে যায়। পরে আহমেদাবাদের গুজরাটে বসবাসকারী
আহমেদাবাদ পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের সোর্স বটিয়াঘাটার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আকবর হোসেনের সহায়তায়
আসামী আযম ও রহিমা গত ০২জানুয়ারী গ্রেফতার হয়। খবর পেয়ে বটিয়াঘাটা থানা পুলিশ তাদেরকে ফিরিয়ে
আনার জন্য ভারতীয় হাইকমিশনে যোগাযোগ অব্যাহাত রেখেছে বলে জানায় সিআইডি পুলিশ।

সিআইডি জানায়, গ্রেফতারের পরে আজম তার বাড়ির পিছনে বাগানে ৪ জনকে হত্যা করে লাশ পুতে রাখার
কথা স্বীকার করেছে।সে বিভিন্ন কৌশলে লোকজনকে তাদের ডেকে বাড়িতে এনে খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে
দিয়ে তার দলের সদস্যদের সহায়তায় হত্যার পর কিডনি, চোখসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কেটে পাচার করত এবং লাশ মাটি
চাপা দিয়ে রাখত।

বটিয়াঘাটার থানার ওসি মো: মাহবুবুর রহমান জানান, প্রধান আসামী আজমসহ তার স্ত্রীকে দেশে ফিরিয়ে
আনা গেলে হত্যার মূল কারন এবং তার সহযোগীদের আইনের আওতায় আনা সহজ হবে। তারা
আটককৃতদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন।

পিবিএ/এসসি/এফএস

আরও পড়ুন...