পিবিএ,খুলনা: খুলনায় টুকরো টুকরো করে নৃশংসভাবে হত্যাকান্ডের শিকার সাতক্ষীরার শ্রমিক ঠিকাদার হাবিবুর রহমানের পাসহ কয়েক টুকরো গলিত অংশ উদ্ধার করে ৱ্যাব। এ সময় হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই জনকে আটক করা হয়। সোমবার সকালে নগরীর ফারাজী পাড়ার একটি বাসা থেকে এসব খন্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা হলো-ওই বাড়ীর ভাড়াটিয়া বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের নুরুল হকের ছেলে মো: আসাদুজ্জামান ও তার বন্ধু বটিয়াঘাটার হাটবাটি গ্রামের নিবার্ন মন্ডলের ছেলে অনুপম।
ৱ্যাব-৬ খুলনার অধিনায়ক লে.কর্নেল সৈয়দ মোহাম্মদ নুরুস সালেহীন ইউসুফ জানান, নগরীতে নিহত হাবিবুরের লাশের বাকী অংশ উদ্ধার ও হত্যাকারীদের ধরতে গোপন অভিযানে ফুলবাড়ী গেট কুয়েট সংলগ্ন একটি বাসা থেকে প্রধান আসামী মো: আসাদুজ্জামান ও তার বন্ধু অনুপমকে বাড়ী থেকে সোমবার ভোরে আটক করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ফারাজীপাড়ার সাবেক বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল খায়েরের ৩৪ হাসনাত মঞ্জিল বাড়ীর নীচতলার একটি কক্ষ থেকে নিহত হাবিবুরের পা ও লাশের কয়েকটি খন্ড উদ্ধার করা হয়। এ সময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও দা এবং নিহতের মটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া অংশ ও আটককৃতদের খুলনা সদর থানায় হস্তান্তর করেছে ৱ্যাব।
তিনি আরও জানান, আটক আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা ও মংলা বন্দর থানায় তিনটি হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আসাদের সাথে নিহত হাবিবুরের জেলের মধ্যে পরিচয় ও তিন মাস আগে একই সাথে মুক্তি পায়। পরে আসাদুজ্জামান ফারাজীপাড়ায় বাসা ভাড়া নেয়। তবে কি কারনে হত্যা করে সে বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছ্ইু জানা যায়নি।
এদিকে, খবর পেয়ে কেএমপির সহকারী কমিশনার মো: শাকিল আহমেদ, সোনাডাঙ্গা থানার ওসি মমতাজুল হক, পিবিআই কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় আশপাশের স্থানীয় লোকজন ভীড় করে।
উল্লেখ্য, ৭ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহানগরীর শের-এ বাংলা রোডে পলিথিন মোড়ানো মরদেহের একটি অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে দুপুরে ফারাজিপাড়া রোডে ড্রেনের পাশ থেকে দুটি ব্যাগে থাকা মাথা ও দুই হাত উদ্ধার করা হয়। ময়না তদন্তের পর ৮ মার্চ বিকেলে মরদেহের ৭টি খন্ডিত অংশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর মধ্যে লাশের মাথা, দুই হাতের চারটি খন্ড ও পায়ের ওপরের অংশ থেকে গলা পর্যন্ত দুইটি অংশ ছিলো। পরে টুকরো করা লাশটি সাতক্ষীরার শ্রমিক ঠিকাদার হাবিবুর রহমানের বলে সনাক্ত হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ভগ্নিপতি গোলাম মোস্তফা ৯ মার্চ খুলনা সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে।
পিবিএ/এসডি/এমএসএম