পিবিএ,নোয়াখালী: নোয়াখালীের সুবর্ণচরে ভোটের রাতে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় আলোচিত আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা রুহুল আমিনসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
চরজব্বার থানা পুলিশ মামলার এজাহার থেকে রুহুল আমিনের নাম বাদ দিয়েছে বলে বুধবার রাতে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুকের কাছে অভিযোগ করেছিলেন ওই নারী। ডিআইজি গোলাম ফারুক ধর্ষণের ঘটনায় রুহুল আমিনের সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাওয়ার পর গভীর রাতে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ বলেন, রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয় জেলা সদরের একটি হাঁস-মুরগীর খামার থেকে। আর সেনবাগের একটি ইটভাটা থেকে মামলার আসামি বেচুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ নিয়ে মোট পাঁচজনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার করা হল।
নির্যাতনের শিকার নারীর অভিযোগ, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা সবাই চরজুবলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য রুহুল আমিনের লোক।
মামলার এজাহারে মো. সোহেল (৩৫), মো. হানিফ ৩০), মো. স্বপন (৩৫), মো. চৌধুরী (২৫), মো. বেচু (২৫), বাদশা আলম ওরফে কুড়াইল্যা বাসু (৪০), আবুল (৪০), মোশারফ (৩৫) ও ছালা উদ্দিনের (৩৫) নাম উল্লেখ করা হয়।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) খন্দকার গোলাম ফারুক গতকাল সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি নির্যাতনের শিকার নারীর সঙ্গে কথা বলেন।
গতকাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আল-মাহামুদ ফয়জুল কবিরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সেলিনা আক্তারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আরেকটি দলও ঘটনার তদন্তে নোয়াখালীতে যায়।
পিবিএ/ জেডআই