পিবিএ ডেস্ক : পাকিস্তানের সাবেক বিমান বাহিনীর প্রধান ওয়াসিমুদ্দিন, গণপিটুনিতে ছেলের মৃত্যুর খবর হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন। ভারতের নিউজ সাইট ফার্স্টপোস্ট প্রথম এ ‘মৃত্যুর’ খবর প্রচার করে এবং এটির বরাত দিয়ে আরো অনেক ভারতীয় গণমাধ্যমে খবরটি প্রকাশিত হয়।
ঘটনার বিবরণীতে দাবি করা হয়, গত মাসের ২৭ তারিখে আকাশ যুদ্ধে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর একটি এফ-১৬’কে গুলি করে ভূপাতিত করার পর ভারতীয় বিমান বাহিনীর মিগ-২১ বিমান বিধ্বস্ত হয়। ভারতীয় বৈমানিক উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে পাকিস্তান আটক করে।পরে সদিচ্ছার নিদর্শন হিসেবে তাকে নয়াদিল্লির হাতে তুলে দেয় ইসলামাবাদ।
এদিকে ভূপাতিত হওয়ার আগে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর এফ-১৬ বিমানের পাইলট প্যারাসুট দিয়ে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে নেমে আসতে সক্ষম হন। কিন্তু বিক্ষুব্ধ পাকিস্তানি জনগণ ভুলক্রমে তাকে ভারতীয় পাইলট ভেবে গণপিটুনি দেয়। মারাত্মক আহত অবস্থায় তিনি একটি হাসপাতালে মারা যান। নিহত বৈমানিকের নাম শাহাজ উদ্দিন বলে জানিয়ে দাবি করা হয়, তিনি পাকিস্তানের সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান ওয়াসিমুদ্দিনের ছেলে। লন্ডন-ভিত্তিক আইনজীবী খালিদ ওমরের বরাত দিয়ে ফার্স্টপোস্টের খবরে এ দাবি করা হয়।
কিন্তু হংকংভিত্তিক এশিয়া টাইমসের তদন্তে ভিন্ন চিত্র ধরা পড়েছে। এতে বলা হয়েছে, ওয়াসিমুদ্দিন পাক বিমান বাহিনীর প্রধান ছিলেন ঠিকই তবে তার শাহাজ উদ্দিন নামে কোনো ছেলে নেই। তার দুই ছেলের নাম যথাক্রমে আলেম উদ্দিন এবং ওয়াকার উদ্দিন। প্রথম জন যুক্তরাজ্যে পড়ালেখা করছেন এবং দ্বিতীয় জন একটি টেলিকম কোম্পানিতে চাকরি করেন। এ দু’জনের কেউই কখনো বিমান চালান নি বা তারা কেউ কখনো পাকিস্তান বিমান বাহিনীতেও কাজ করেন নি।
ফার্স্টপোস্টের খবর হেসে উড়িয়ে দিয়ে ওয়াসিমুদ্দিন বলেন, ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার ইচ্ছা তার নেই। তার দুই ছেলে বহু বছর ধরে বিদেশি জীবন-যাপন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনর্থক তাদেরকে খবরে টেনে আনা হয়েছে।
পিবিএ/জেডআই