অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগের বিচারের জন্য জাতীয় সংহতি রক্ষা করতে হবে। এ সরকার থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করব।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) জাতীয় মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়েজিত ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদী জুলুমের ভুক্তভোগী গণজমায়েত’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ বলেন, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা ফ্যাসিস্ট রাজনীতির মাধ্যমে মানুষের মানবাধিকার হনন করেছিল। এ ধরনের মানবতাবিরোধী দলের শাস্তি হতে হবে। শুধু জুলাই অভ্যুত্থানেই নয়, শাসনের শুরু থেকেই তারা হত্যা-জুলুম চালিয়েছে। শেখ মুজিবের আমল থেকেই আওয়ামী লীগের হাতে রক্তের দাগ লেগেছিল।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিদায় হয়েছে। এখন প্রশ্ন বিচারের। সেই বিচার নিশ্চিত করতে আমাদের জাতীয় সংহতি রক্ষা করতে হবে। এই সরকারের থাকা অবস্থায়ই তাদের বিচার নিশ্চিত করব।
অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, শেখ হাসিনা মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত করেছেন। জাতিসংঘের নিয়মাবলি অগ্রাহ্য করে তিনি গত ১৫ বছরে বিরোধী দল ও মতের ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন। গুম, হত্যা, জেল, জুলুম চালিয়েছেন রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, শ্রমিক ও জনতার ওপর। এসব অপরাধ তুলে ধরে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।
তারেক রহমান আরও বলেন, গণতন্ত্র ছাড়া মানবাধিকার কল্পনা করা যায় না। বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে সংস্কৃতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। একজন মানুষের জন্মের পর থেকেই মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে, এ কথা বিশ্বাস করলে আর মানবাধিকার খর্ব হয় না।
আগামী নির্বাচনে জয়ী হলে জনগণের জন্য শান্তি, সাম্য ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে সরকার পরিচালনা করার কথাও জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন এ্যানী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমম্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, এ বি পার্টির সদস্য সচিব মুজবুর রহমান মঞ্জু, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম প্রমুখ।
এ ছাড়া ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সাংবাদিক তাসনীম খলিল, জুলকারনাইন সায়ের ও অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য।