দাবদাহে অবসহনীয় গরমে অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যেই পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
এ অবস্থায় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে আগের মতোই এক নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান গণমাধ্যমকে জানান, সোমবার দুপুর নাগাদ গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে। ঘূর্ণিঝড় হলেই সতর্ক সংকেতও বাড়িয়ে দেওয়া হবে।
পূর্ণিমার সময় ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম করলে তুলনামূলক জলোচ্ছ্বাস বেশি হয় জানিয়ে তিনি বলেন, এটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে উত্তর-উত্তর পশ্চিমে অগ্রসর হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে তখন এর নাম হয়েছে ইয়াস। আবদুর রহমান খান বলেন, ঘূর্ণিঝড় হওয়ার পরই এর গতিপ্রকৃতি নিয়ে বিস্তারিত ধারণা দেওয়া যাবে। তবে এখন পর্যন্ত এটি খুবই শক্তিশালী বা প্রলয়ংকারী হবে এমন শঙ্কা করা হচ্ছে না।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, নিম্নচাপটি রোববার (২৩ মে) মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিমি দক্ষিণে ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
এটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিমির মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিমি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছের সাগর খুব উত্তাল।
উত্তর বঙ্গোসাগর ও গভীর সাগের অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।