পিবিএ ডেস্কঃ দ্রুত বদলাচ্ছে তাপমাত্রা। গরমের পারদ চড়ছে চরচর করে। ঘামে জবজবে শরীরটাকে শাওয়ারের তলায় না যেন দাঁড় করালেই নয়। স্কুল থেকে ঘেমেনেয়ে ফেরা বাচ্চাটাও ওয়াশরুমে যেতে চাইছে একটু ঠান্ডা হতেই। কিন্তু কয়েক রাত যেতে না যেতেই শরীরের দফারফা। সর্দিজ্বরের জেরে শয্যা নিতেই হবে। রোগ সামান্যই, কিন্তু কাহিল করে ছাড়বে আপনাকে এই ফ্লু।
কেন হয় সর্দি-জ্বরঃ চিকিৎসকেরা বলছেন গরমের সময় শরীরে তাপমাত্রার হঠাৎ রদবদল এই সংক্রমণ ডেকে আনে। ধরা যাক তীব্র রোদ থেকে হঠাৎ এসিতে ঠোকা, অথবা রোদ থেকে ফিরেই গায়ে জ্বল ঢালা। তাপমাত্রার এই ওঠানামায় শরীর ধাতস্থ হতে পারে না। এর ফলে বুকে কফ জমে যায়। অনেক ক্ষেত্রে আবার সহজেই থাবা বসায় রাইনো ভাইরাস। কাজেই তার জেরে টানা তিন-চার দিনে ভাইরাল ফিভার তো রয়েছেই। রয়েছে সংক্রমণের ভয়ও।
কীভাবে প্রতিরোধ করবো সর্দি জ্বরঃ যে কোনও তাপমাত্রাতেই শরীরকে ধাতস্থ হতে দিতে হবে। এসি মেট্রো বা এসি শপিং মলে ঢুকে অন্তত পনেরো সেকেন্ড শ্বাস বন্ধ রাখুন। রোদ থেকে ফিরে কখনই সাথে সাথে গায়ে ঠান্ডা পানিতে গোসল করবেন না। শরীরকে ঘরের তাপমাত্রায় কিছু ক্ষণ ঠান্ডা করুন। পাখার হাওয়ায় গায়ের ঘাম শুকিয়ে গেলে গোসল করুন।
ভাইরাল ফিভার প্রতিরোধের উপায়ঃ শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি থাকলে খুব সহজেই ঠান্ডা লেগে যায়। খেয়াল রাখুন, যাতে প্রতি দিনের খাবারের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে।
সচেতন ভাবে মুখ থেকে নিজের হাত দূরে রাখুন। কারণ, হাত থেকেই নানা জীবাণু শরীরে ঢোকে। ২০১৬ সালের একটি সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, এক জন মানুষ সারা দিনে গড়ে ১৬ বার নিজের মুখে হাত দেন।
নিজের মোবাইল ফোনটি দিনে এক বার ডিসইনফেকট্যান্ট দিয়ে অবশ্যই পরিষ্কার করুন।
শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে জিঙ্কের প্রয়োজন থাকলে, তা মেটান। জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার রাখুন পাতে। এতে ভাইরাস রোধ করা যায় সহজে।
প্রোবায়োটিক-যুক্ত খাবার খেলে ফ্লু রুখে দেওয়া সহজ হয়। তাই টক দই রাখুন প্রতি দিনের খাবারে।
জ্বরে আক্রান্ত হলে সারা দিনে অন্তত চার লিটার জল খান। শুধু পানিই খেতে হবে এমন কোনও কথা নই, স্যুপ বা ডাল জাতীয় তরলেও ভাল কাজ দেয়।
নিজে কিনে কাফ সিরাপ খাবেন না ভুলেও। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
পিবিএ/এমআর