গর্ভাবস্থায় ত্বকের সমস্যায়, করণীয়

পিবিএ ডেস্কঃ মা হওয়া আনন্দদায়ক বটেই, তবে সে সময় শারীরিক নানা জটিলতা ও যন্ত্রণাও কম হয় না কিন্তু! ৯ মাস ধরে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় একজন হবু মাকে সন্তান গর্ভে আসার পর মানসিক ও শারীরিক দুই ক্ষেত্রেই মেয়েদের বড় পরিবর্তন আসে। এরই সঙ্গে অন্তঃসত্তা থাকা অবস্থায় মহিলাদের ত্বকেও বেশ কিছু সমস্যা দেখা যায়। মূলত হরমোন জনিত কারণেই এই সমস্যা দেখা যায়।

এই সময় খুব বেশি রাসায়নিক ক্রিম ব্যবহার করা যায় না। যখন-তখন ইচ্ছা মতো ওষুধসেবনও ঠিক নয়। তা হলে এই ধরনের ত্বকের সমস্যায় কি কিছুই করার উপায় নেই? ত্বক বিশেষজ্ঞরা কিন্তু অন্য কথা বলছেন।

তাঁদের মতে, এই সময় কিছু বাড়তি সতর্কতা হবু মাকে নিতেই হয়। এমন কোনও দ্রব্য ব্যবহার করা যায় না, যা তাঁর শরীর ও ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। কারণ, তাঁর উপরেই নির্ভর করবে গর্ভস্থ শিশুর স্বাস্থ্য।

জানেন কি অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের কী কী ত্বকের সমস্যা হয় আর এর সমাধান কী।

১। প্রেগনেন্সির সময়ে অ্যাকনের সমস্যা হয়। তাই এই সময়ে স্যালিসিক অ্যাসিড, বেনজয়েল পেরোক্সাইড, টপিকাল রেটিনয়েডস এবং রেটিনল যুক্ত কোনও প্রডাক্ট ব্যবহার করবেন না।

২। ত্বকের অতিরিক্ত পরিমাণ তেল দূর করতে কোনও হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করুন। টপিকাল অ্যান্টিবায়োটিক যুক্ত প্রডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন। এইগুলি রোজ রাতে ব্যবহার করা ভাল।

৩। প্রেগনেন্সির সময়ে পিগমেন্টেশনের সমস্যায় অধিকাংশ মহিলা ভোগেন। মেলাসমা বা স্কিন ডালনেস এই সময়ে হয়েই থাকে।

৪। ত্বকের উপর বাদামি ছোপ ছোপ দাগ হয়। সকালে ভিটামিন সি যুক্ত ক্রিম ব্যবহার করুন।

৫। ভিটামিন সি-যুক্ত সিরামও ব্যবহার করলে ফল পাবেন।

৬। অ্যাজেলাইক অ্যাসিড বা আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড-যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে পিগমেন্টেশন বা ত্বকে বাদামি ছোপ অনেকটাই এড়ানো যাবে।

৭। প্রায় প্রত্যেক অন্তঃসত্ত্বা মহিলার মধ্যে র‍্যাশ-এর সমস্যা দেখা যায়। সমস্যাটি বিরল নয়। তবে এই সমস্যায় নাজেহাল হলে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

৮। এই সময়ে ত্বকে হেয়ার গ্রোথের পরিমাণ বাড়ে। হরমোন অসামঞ্জস্যের জন্য এই সমস্যা হয়।

৯। আবার চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যাতেও ভোগেন অনেকে।

১০। তাই এই সময়ে ডায়েটে ভিটামিন ও পুষ্টির পরিমাণে যাতে ভারসাম্য থাকে সে দিকে নজর দেওয়া জরুরি। এ ছাড়া যথেষ্ট পরিমাণে ঘুম হওয়া ও চিন্তামুক্ত থাকা এই সময়ে জরুরি।

তবে এই সময় শরীরের কোনও ছোটখাটো সমস্যা হলেও নিজের ইচ্ছা মতো চিকিৎসা করবেন না। বরং ডায়েট চার্ট ও চিকিৎসকের পরামর্শ মতো হালকা কোনও ব্যায়ামের উপর জোর দিন। ত্বকের তেমন কোনও সমস্যা এলেও ত্বকবিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ নিন।

পিবিএ/এমআর

 

আরও পড়ুন...