গাংনীতে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ যুবক আটক

পিবিএ,মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে চারজন যুবককে আটক করেছে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা। আটককৃতরা হলেন-চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের নান্দবার গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে আকরাম হোসেন (২৭),কাবিল হোসেনের ছেলে আহসান আলী (২৭),মিজানুর রহমানের ছেলে জামাল হোসেন (২৮) ও সাইফুল ইসলামের ছেলে ভ্যানচালক মিরাজুল ইসলাম (২৮)।

বুধবার দিবাগত মধ্যেরাতে জালশুকা বাজার এলাকা থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের আটক করে কসবা পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা।
ধর্ষিতা জালশুকা গ্রামের এক কাতার প্রবাসী স্ত্রী ও পার্শবতী আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা গ্রামের মেয়ে।

স্থানীয়রা জানান,জালশুকা গ্রামের বাসিন্দা বর্তমান কাতার প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে পালাচ্ছিল ৪জন যুবক এমন খবর ধর্ষিতার শ্বশুর জানান গ্রামের লোকজনকে। খবর পেয়ে গ্রামের লোকজন ধাওয়া করে তাদের আটক করে।
প্রবাসীর ধর্ষিতা স্ত্রী জানান,আকরাম হোসেন আমার বান্ধবীর স্বামী। সে রাত ৯ টার সময় মোবাইলফোনে কল দিয়ে আমাকে বাড়ির পাশে দেখা করতে বলে। আমি যেতে রাজি না হলে, বাড়িতে গিয়ে বসে থাকবো বলে হুমকি দেয়। কোন উপায় না পেয়ে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বাড়ির পিছনে তার সাথে দেখা করতে যায়। এসময় ওঁত পেতে থাকা আকরাম, আহসান ও জামাল গামছা দিয়ে আমার মুখ বেঁেধ বাঁধে। এসময় আহসান আমাকে ধর্ষণ করে। রাতে আমার শশুর আমাকে ঘরে না পেয়ে বাড়ির বাইরে খোঁজ করতে আসলে, টিউবওয়েলের পাশে দেখা হয়। তখন আমি ঘটনা শ্বশুরকে খুলে বলি। এরপর শশুর গ্রামের লোকজনকে সাথে নিয়ে তাদের তেড়ে ধরে নিয়ে একটি গোডাউনে আটকিয়ে রাখে।

আটক আকরাম হোসেন জানান,আহসানের সাথে ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। সম্পর্কের কারণে আমাদের কয়েকজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে তার সাথে দেখা করতে এসেছিল।
আহসান জানান,কয়েক মাস আগে ওই মেয়ের সাথে মোবাইলফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। মেয়েটি ফোন করে রাতে তার বাড়ির পাশে দেখা করতে বলে। সে কারণে আমি বন্ধুদের সাথে নিয়ে দেখা করতে এসেছিলাম।

গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান,ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা যাচাই বাছাই পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাহাজুল সাজু।

পিবিএ/এসডি

আরও পড়ুন...