মেহেরপুর প্রতিনিধি : মেহেরপুরের গাংনী ঠিকাদার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় ঠিকাদার অ্যাসোসিয়েশনের গাংনী হাসপাতাল বাজারস্থ অফিসে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
গাংনী উপজেলার কাজীপুর ইউনিয়নের পীরতলা-নওদাপাড়ার একটি সড়ক নির্মাণ কাজের দুর্নীতি হচ্ছে এমন সংবাদ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এ কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্মকর্তা ও ঠিকাদারকে দোষারোপ করেছে এলাকাবাসি।
এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশ করেন। এছাড়াও পীরতলা-নওদাপাড়া সড়কের ঠিকাদারের সাথে উপজেলার অন্যান্য ঠিকাদারের কাজের মান নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরই প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গাংনী ঠিকাদার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঠিকারদার ও মেহেরপুর জেলা পরিষদের সদস্য মজিরুল ইসলাম,ঠিকাদার তৌহিদুল ইসলাম,ফারুক হোসেন,মোখলেছুর রহমান,আশিকুর রহমান আকাশসহ বিভিন্ন মিডিয়ার সংবাদ কর্মীবৃন্দ।
লিখিত বক্তব্যেই বলা হয়েছে, গাংনী ঠিকাদার অ্যাসোসিয়েশন নিম্নমানের কাজ সমর্থন করে না। অ্যাসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্রের আলোকে প্রতিটি সদস্য গুণগত মান বজায় রেখে স্বচ্ছতার সাথে নির্মাণ ও বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার রুপকল্প বাস্তবায়নে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতিটি দপ্তরের সাথে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিটি ঠিকাদার করোনা ভীতিকে অগ্রাহ্য করে অফিস, সাপ্লাইয়ার,শ্রমিক মিস্ত্রীদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করছি বলে দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, সরকারের উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্থ করতে ও উন্নয়ন কাজ বিলম্ব করতে এক শ্রেণীর মানুষ সাংবাদিকদের ব্যবহার করছেন বলেও মন্তব্য করেন। অ্যাসোসিয়েশভূক্ত সদস্যদের নামে নিউজ করা পুরাপুরি অনাকাঙ্খিত বলেও মন্তব্য করেন।
নির্মান কাজে নেকগুলো অনুসঙ্গ থাকে। অনেক সময় আবহাওয়া ও অসাবধানতাবশতঃ কাজের মান খারাপ হতে পারে। সেক্ষেত্রে খারাপ কাজের বিষয় তুলে ধরলে সেগুলো সংশোধন করা সুবিধা হয়। এ সময় তিনি দুঃখ প্রকাশসহকারে সাংবাদিকদের দোষারোপ করে বলেছেন , অনেক মিডিয়া ট্রায়াল করে ফেলছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী গোলাপ আলী শেখের বিরুদ্ধে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নির্মাণ সামগ্রীর উর্দ্ধমুখী মূল্য, পরিবহন খরচ, ভ্যাট-ট্যাক্স বেশী হওয়ায় উৎকোচ দেয়ার বিষয়টি মানতে নারাজ ঠিকাদারবৃন্দ।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী একক সিদ্ধান্তে কোনো কাজ করতে পারেন না। উপ-সহকারী ও কার্যসহকারীরা সরাসরি কাজ দেখভাল করে থাকেন। বর্তমান সময়ে মানহীন কাজ করা সম্ভব না।
পিবিএ/সাহাজুল সাজু/এমএ