
মোঃ রিফাতুন্নবী রিফাত,গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধা শহরের ব্রীজ রোড কালিবাড়িপাড়ার সংখ্যালঘু মৃতঃ নারু গোপাল দাসের পুত্র সাংবাদিক শ্রী তপন চন্দ্র দাস ও তার ছোট ভাই শ্রী চন্দ্র কিশোরের সাথে পার্শ্ববর্তী মৃতঃ রহমত আলীর পুত্র সন্ত্রাসী,ভূমিদস্যু ও এলাকার প্রভাবশালী মোঃ রস্তম আলী ও তার পুত্র মোঃ রিফাত মিয়ার দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ মার্চ আনুমানিক রাত ৮টায় এলাকার চিহ্নিত দুর্ধর্ষ দাঙ্গাবাজ,ভূমি দস্যু,সরকারী খাস জায়গা দখলে নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ,সন্ত্রাসী রোস্তম ও তার পুত্র রিফাত মিয়া এবং তার পালিত ক্যাডার রানাসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা খোলাহাটি ইউনিয়নের হাসেমবাজারে (সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের) চন্দ্র কিশোরের কেন্দ্রীয় ক্যাবলস নেটওর্য়াক নামক ডিস ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারিদের বেধরক মারপিটে সাংবাদিক তপন চন্দ্র দাস ও তার ছোট ভাই চন্দ্র কিশোর গুরুতর আহত হন। এ সুযোগে সন্ত্রাসীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি -ঘর জ্বালিয়ে দেয়া হবে এমন হুমকী দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।আহতদের আত্বচিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে। গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক তপন চন্দ্র দাস, দৈনিক নবচেতনা পত্রিকার গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করে আসছেন এবং তিনি গাইবান্ধা জেলা প্রেসক্লাবের সহকারী কোষাধ্যক্ষ। এ ঘটনায় আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ফলে আসামীরা বাদী ও তার পরিবারের লোকজনকে ভয়-ভীতি ও হুমকী প্রদর্শন করায় বাদী ও তার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর ইসলাম তালুকদার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।