পিবিএ,গাইবান্ধা: এমনিতে বর্ষা মৌসুম আকাশে মেঘ ভরা পানি। সারাদিন রাত টিপটিপ ঝড়ছে অন্যদিকে উজান থেকে নেমে আসা পানি গাইবান্ধা জেলার ছোট বড় নদী গুলোতে বিপদসীমার উপর দিয়ে এখনো প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বন্দি হয়ে রয়েছে জেলার নদীবৃষ্টিত চরাঞ্চলের সর্বস্তরের মানুষ। এছাড়া জেলার সদর উপজেলাসহ অন্যান্য উপজেলায় বর্ষা মৌসুম জনিত জলাবদ্ধতা রয়েছে। উজান হতে নেমে আসা পানিতে গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত হয়েছে। জেলার সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকাগুলো ও চরাঞ্চলগুলোর মানুষ এখনও শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি ও গো-খাদ্যের সংকটে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বলে স্থানীয় ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানা যায়। বিশেষ করে বন্যায় কর্মহীন হওয়ার কারণে শ্রমজীবি মানুষগুলোর মধ্যে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে ব্যাপক ভাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সোমবার ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৩৫ সে.মি. এবং ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার মাত্র ৩ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, জেলার সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলার ২৬টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়ায় ১ লাখ ২২ হাজার ৩২০ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া বন্যায় প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এতে চিনা বাদাম, আউশ ধান ও পাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
পিবিএ/আশরাফুল ইসলাম/এসডি