গাছ বিক্রি নিয়ে মাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা

রাজন্য রুহানি,জামালপুর: বাড়ির উঠোনে থাকা গাছ বিক্রির ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাকু ও বটি দা দিয়ে ছেলের উপর্যুপরি আঘাতে ঘটনাস্থলেই মঞ্জিলা বেগম জিরা (৬৫) নামে এক মায়ের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় কিনে নেওয়া গাছ কাটতে আসা এক গাছবেপারিকেও কুপিয়েছে ওই ছেলে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গাছবেপারিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর হত্যাকারী ছেলে মো. মঞ্জু (৪০) গা ঢাকা দিয়েছে। তাকে ধরতে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জামালপুর পৌর এলাকার হাটচন্দ্রা রেলঘুন্টি এলাকায় নিহতের নিজবাড়িতে ঘটেছে এই নির্মম ঘটনা।

নিহত মঞ্জিলা বেগম ওই এলাকার মো. কামরুল ইসলাম কামুর তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী। অভিযুক্ত মঞ্জু তাঁর আগের স্বামী ইসলামপুর উপজেলা নিবাসী মো. তোতা মিয়ার ঔরসজাত ছেলে। প্রায় ৩০ বছর আগে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এছাড়া ওই ছেলের হাতে আহত হওয়া গাছ বেপারির নাম শেখ ফরিদ (৪৫)। তার বাড়ি মেলান্দহ উপজেলার ঝিনাই ব্রিজ এলাকায়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, টাকার অভাবে বাড়ির উঠোনে থাকা ‘লম্বু’ নামে একটি গাছ বিক্রি করেন মা মঞ্জিলা বেগম। আজ সকালে কিনে নেওয়া ওই গাছ কাটতে আসেন বেপারি শেখ ফরিদ। ছেলে মঞ্জু গাছ কাটতে বাধা দিলে গাছবেপারির সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ধারালো চাকু দিয়ে ওই গাছ বেপারির পেটে এলোপাতাড়ি আঘাত করে মঞ্জু। গাছবেপারিকে উদ্ধার করতে মা মঞ্জিলা বেগম এগিয়ে এলে তাকেও চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে এবং বটি দা দিয়ে গলায় জবাইয়ের মতো ফ্যাস দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান মা মঞ্জিলা বেগম। প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে মঞ্জু পালিয়ে যায়। গুরুত্বর আহত অবস্থায় গাছ বেপারি শেখ ফরিদকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াহিয়া খান মামুন জানান, ‘নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত মঞ্জুকে আটকের জন্য অভিযানে নেমেছে পুলিশ।’

আরও পড়ুন...