গাজীপুরের শ্রীপুরে ট্রেনের সাথে গার্মেন্টস শ্রমিক বহনকারী বাসের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন এবং কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মৃত ব্যক্তিদের ২ জন নারী ও ২ জন পুরুষ।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়া আহতরা হলেন নিরুফা (৪১), জাহিদ (২৪), আরমান (১৭), নাঈম (১৯), পারভেজ (৩৪), মাসুম (১৮), ফারজানা (২০), বেবী (৪০), রেশমী (৩০), বিল্লাল (২০), হালিমা (২৪), মাহফুজ (২৫), শিপন (১৭), হাবিবুল্লাহ (১৬), সুলেমা (১৯) । আহতদের বেশিরভাগ বাসযাত্রী ও তারা শ্রীপুরের টেপিরবাড়ী এলাকার জাহান টেক্সটাইলের শ্রমিক।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও আহতরা জানায়, রোববার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে শ্রমিকবহনকারী একটি বাস শ্রীপুর উপজেলার মাইজপাড়া এলাকার লেবেল ক্রসিং অতিক্রমের সময় চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
তারা জানায়, বাসটি লেবেলক্রসিং অতিক্রমের সময় কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নেত্রকোণার জাজিরাগামী বলাকা কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেনটি ধাক্কা দিয়ে বাসটি উল্টে সিটকে রেললাইন থেকে কিছুদূর ফেলে দেয়। এসময় ট্রেনের ইঞ্জিনের সম্মুখভাগে বসে থাকা কমপক্ষে ৬ জন গুরুতর আহত হন। একই সময়ে বাসের কমপক্ষে ২০ জন শ্রমিক আহত হন। পরে হতাহতদের উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনার সময় লেবেল ক্রসিংয়ের সিগন্যাল বার নামানো হয়নি এবং গেটে কোনো গেটম্যান ছিলেন না বলেও জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
ময়মনসিংহের গফরগাঁও রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ীর উপ পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি ২ জনের মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর রেলওয়ে পুলিশের সহায়তায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডা. জান্নাতুন নাঈম জানান, আহত ১৫ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহত ৬ জনকে ঢাকা ও ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক মো. আনিসুর রহমান জানান, এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। নিহত ৪ জনের পরিবারকে দাফন কাফনের জন্য ২০ হাজার করে এবং গুরুতর আহত ১৩ জনকে ১০ হাজার টাকা করে প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
