
নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তুলে সড়ক অবরোধের ঘটনাকে ‘অপপ্রচার’ বলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত উড়োজাহাজ সংস্থা- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।
শনিবার সন্ধ্যায় বিমানের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এদিন বিমানের ‘কমার্শিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট’ পদে নিয়োগ পরীক্ষা হয়। পরীক্ষা নেওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) মাধ্যমে। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, পরীক্ষা কেন্দ্র ও খাতা মূল্যায়নের দায়িত্বও ছিলে তাদের।
এদিন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তুলে সড়ক আটকে বিক্ষোভ করেন একদল শিক্ষার্থী। এরপর দুটি কেন্দ্রে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
এ ব্যাপারে বিমানের ভাষ্য, পরীক্ষার ১৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩১ হাজার ৯১৭ জন। দুটি কেন্দ্রের প্রশ্নপত্র বহন করা গাড়ি সড়কে যানজটে পড়ায় পরীক্ষা শুরুর নির্ধারিত সময়ের ২২মিনিট পরে পৌঁছায়।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, একটি কেন্দ্র লালমাটিয়ার গার্লস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ; আরেকটি লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজ।
“পরীক্ষা শুরুর নির্ধারিত সময় ছিল বেলা ৩টা। তখন কেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একদল মানুষ কোনো ‘উসকানি’ ছাড়াই প্রশ্ন বহন করা গাড়িগুলোকে ভেতরে ঢুকতে না দিয়ে আটকে রাখে। তারা প্রশ্ন ফাঁসের ‘প্রোপাগান্ডা’ ছড়াতে থাকে।”
পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। বিমান বলছে, বাকি ১৩টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বিষয়ে তারা আইবিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। আইবিএ জানিয়েছে, তাদের প্রশ্ন বহনকারী গাড়িগুলো একদল লোক আটকে রাখে; সঙ্গে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ‘গুজব’ রটায়। ফলে তাদের পক্ষে ওই দুটি কেন্দ্রের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তারা এ বিষয়ে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে। ওই দুটি কেন্দ্রের বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত বিমান বাংলাদেশকে জানিয়ে দেবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস মনে করে, “একটি মহল ‘বিশেষ উদ্দেশ্যে’ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য দুটি কেন্দ্রের প্রশ্ন বহন করা গাড়ি অবরুদ্ধ করে রাখে এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসের ‘প্রোপাগান্ডা’ ছড়ায়।
“এ সংক্রান্ত যেকোনো ‘প্রোপাগান্ডার’ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানাচ্ছে বিমান।”
শেরেবাংলা নগর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম আজম বলেন, “বিমানের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে বেশকিছু পরীক্ষার্থী বিকালে আসাদ গেট এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন।
“কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা সড়ক ছেড়ে চলে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।”