গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের জন্মবার্ষিকী পলিত হলো নিউইয়র্কে

পিবিএ, ঢাকা: গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে সদ্য প্রতিষ্ঠিত গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার স্মরণ সংসদ, নিউইয়র্ক। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের বাংলাদেশ প্লাজা মিলনায়তনে গান ও কবিতার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়।

সাপ্তাহিক ঠিকানার প্রধান সম্পাদক মুহম্মদ ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট গোপাল সান্যালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ছিলেন নিউইয়র্ক প্রবাসী কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, কণ্ঠশিল্পীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষেরা।

অনুষ্ঠানে আবৃত্তি শিল্পী মুমু আনসারী শুভেচ্ছা বক্তব্যে অনেকগুলো বিখ্যাত গানের উল্লেখ করে গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের সংক্ষিপ্ত জীবন পরিচয় তুলে ধরেন। বক্তব্য দেন সংগীতজ্ঞ মুত্তালিব বিশ্বাস, মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইমাম, কবি শামস আল মমীন, আলোকচিত্রী ওবায়দুল্লাহ মামুন, সাংবাদিক ইব্রাহীম চৌধুরী, লেখক আহমেদ মাযহার, সাংবাদিক মুজাহিদ আনসারী, কামাল হোসেন মিঠু, মোশাররফ হোসেন, অধ্যাপিকা হুসনে আরা বেগম, শিতাংশু গুহ, শুভ রায় প্রমুখ।

বক্তারা উল্লেখ করেন, গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার ১৯২৫ সালে ৫ ডিসেম্বর পাবনার ফরিদপুর উপজেলার গোপালনগর গ্রামে জন্ম নেন ‘গানের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার যে অবদান রেখেছেন তা অনস্বীকার্য। তার অবদানকে স্মরণ করতে এবং নতুন প্রজন্মকে এই মহান শিল্পীর অবদানের কথা জানাতে তার জন্মস্থান পাবনায় স্মৃতি রক্ষা খুবই জরুরি বলেও অভিমত পোষণ করেন তারা।

৭১ এর কণ্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায় তার প্রায় ঘণ্টাব্যাপী দীর্ঘ স্মৃতিতে গৌরীপ্রসন্নকে তুলে ধরেন। একাত্তরে স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের পরিচয়ের সূত্রে স্বল্প সময়ের মধ্যে কীভাবে গৌরীপ্রসন্ন তাকে স্নেহের বন্ধনে আবদ্ধ করেছিলেন এবং বাংলাদেশের প্রতি তার অসীম ভালোবাসার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

সঙ্গীত পর্বে যোগ দেন ৭১ এর কণ্ঠযোদ্ধা শহীদ হাসান এবং শুরু করেন গীতিকার গৌরী প্রসন্ন মজুমদারের ‘শোনো একটি মজিবরের কণ্ঠ থেকে লক্ষ মজিবরের কণ্ঠে সুরের ধ্বনি প্রতিধ্বনি’- গান দিয়ে। আর শেষ করেন ‘কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই’ দিয়ে।

উল্লেখ্য, এই গানটি ২০০৪ সালে বিবিসির জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ২০টি বাংলা গানে ঠাঁই পেয়েছিল।

পিবিএ/ইএইচকে

আরো পড়ুন:

আরও পড়ুন...