পিবিএ,যবিপ্রবি প্রতিনিধি: সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে গুচ্ছ পদ্ধতিতে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি দ্বিতীয়বারের মতো যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও (যবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার প্রথম দিনে ‘এ’ ইউনিটে যবিপ্রবিতে আসন পড়ে ৩ হাজার ৮৬১ জন শিক্ষার্থীর। এরমধ্যে যবিপ্রবিতে ৯৬ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়েছেন বলে পরীক্ষা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
জিএসটিভুক্ত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে জানানো হয়, আজ ‘এ’ ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ১৩ আগস্ট ‘বি’ ইউনিটে মানবিক ও ২০ আগস্ট ‘সি’ ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগ থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীদের দুপুর ১২টা-১টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নে বিষয়ে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, সারা বাংলাদেশে আমরা খবর পেয়েছি- দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষাটি অত্যন্ত সুষ্ঠু ও নির্বেঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে। যবিপ্রবি কেন্দ্রে দুজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এবং একজন গুরুতর অসুস্থ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন, আমরা তাঁদের প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিত করেছি। শিক্ষার্থীদের দুর্দশা লাঘবে গুচ্ছ পরীক্ষা পদ্ধতি একটি সফল পদ্ধতি হিসেবে প্রমাণতি হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য তিনি যবিপ্রবির সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। একইসঙ্গে যবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে যশোরের জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, যবিপ্রবি ছাত্রলীগ, সাংবাদিক সমিতি, সহায়ক সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
যবিপ্রবির জিএসটিভুক্ত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক কমিটি থেকে জানানো হয়, যবিপ্রবির তিনটি ভবনে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে একটি ভবনে অবৈধভাবে মুঠোফোন রাখার দায়ে একজন ভর্তি পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। যশোরের ঝিকরগাছার বাঁকড়া এলাকার দুই হাত ও এক পা বিহীন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী তামান্না নুরা যবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের কেন্দ্রীয় গ্যালারিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন। তাঁকেসহ আরও দুজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ভর্তি পরীক্ষার্থীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ডিজিটাল ব্যানারে রোল নম্বর, কেন্দ্র এবং ভবন নির্দেশক দেওয়া হয়। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের সহায়তা দেওয়ার জন্য সকল ভবনের প্রবেশমুখে নিরাপত্তা উপ-কমিটির সদস্যবৃন্দ, বিএনসিসিসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকগণ দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিটি কেন্দ্রে অবৈধ ডিভাইস শনাক্তে শিক্ষক ও কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে গঠিত ১০ সদস্যের স্ট্রাইকিং ফোর্সও দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া যবিপ্রবি ছাত্রলীগ, সাংবাদিক সমিতি, সহায়ক, বিভিন্ন জেলা সংগঠনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রীয়াশীল বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও ক্লাব ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রীদের সহায়তা করে।
এর আগে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য যবিপ্রবিতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। ভর্তি পরীক্ষার সময় যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে ও পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত ছিলেন। পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের সাথে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সাইবুর রহমান মোল্যা, ‘এ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, ড. মো. তানভীর ইসলাম, ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ড. সুমন চন্দ্র মোহন্ত, ড. মো. মেহেদী হাসান, যবিপ্রবির জ্যেষ্ঠ শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, অধ্যাপক ড. শেখ মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল) বেলাল হোসাইনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের দায়িত্বরত ব্যক্তিবর্গ।