পিবিএ, ঢাকা– সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদানকারী কিংবা গুজব রটনাকারীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপরে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সচেতনতামূলক একটি বিজ্ঞাপনচিত্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। আর র্যাব মহাপরিচালক বলছেন, গুজব ছড়িয়ে নির্বাচন বানচাল করার জন্য একটি শ্রেণি উঠেপড়ে লেগেছে, আইনের মুখোমুখি করা হবে তাদের।
চলতি বছরের আগস্টে নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্কুল-কলেজ পড়ুয়ারা যখন রাজপথে তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রটিয়ে আন্দোলন ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা চালানো হয়। এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে অনেককে গ্রেফতারও করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলন কিংবা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, কক্সবাজারের রামুতেও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে।
র্যা ব বলছে আসছে নির্বাচনেও গুজব রটানোর মাধ্যমে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হতে পারে। সে লক্ষ্যেই জনসচেতনতা সৃষ্টিতে তৃতীয়বারের মতো টেলিভিশন বিজ্ঞাপন নির্মাণ করেছেন তারা।
র্যাব মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ বলেন, ‘মানসিকভাবে বিপর্যস্ত একশ্রেণির মানুষ কয়েকমাস ধরে ইন্টারনেটে গুজব ছড়াচ্ছে। আমরা চেষ্টা করবো আগামী নির্বাচনকে যেন কেউ প্রশ্নবিদ্ধ বা বানচাল করার অপচেষ্টা করতে না পারে।’
অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক জাভেদ পাটোয়ারিও র্যাববের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারাই গুজব ছড়াবে, পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, গুজব কোন দেশের শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট করার জন্য ভয়ঙ্করভাবে ভূমিকা রাখতে পারে। অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এখন এমন এক সময় এসেছে, যে সময় গুজব রটানোর বিশেষ ক্ষেত্র হিসেবে তৈরি হয়ে যেতে পারে। তিনি একে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, যে বা যারাই এ ধরনের কাজের সাথে যুক্ত, তাদেরকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে র্যারব জানায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ও উস্কানিমূলক তথ্য প্রচারের দায়ে বুধবার রাতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছয়জনকে গ্রেফতার করেছেন তারা।
পিবিএ/এমটি/এইচএইচ