গুজবে কান দেবেন না’

পিবিএ,ঢাকা : মিথ্যে সংবাদ ও তথ্যকে প্রতিহত করার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেনের উদ্যগে খোলা হয়েছিল ফেসবুক ভিত্তিক গ্রুপ ‘গুজবে কান দেবেন না’। নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের সময় এটা খোলা হয়েছিল। সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত এই গ্রুপ থেকে সরকারবিরোধী বিভিন্ন গুজবের বিরুদ্ধে তথ্যসহ মুল সত্য উপস্হাপন করে আসছে মেম্বাররা।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘুর্ণিঝড় ‘ফণী’ সম্ভ্যাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের স্বেচ্ছাসেবকের ভুমিকা পালন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলের নিউজ স্ক্রল এডিট করে সেখানে লেখা হয়েছিল “ছাত্রলীগ প্রস্তুত থাকায় দুর্বল হয়ে গেছে ঘুর্ণিঝড় ফণী”। সেটির স্কিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমত ভাইরাল হয়েছিলো। এবং সাধারণ মানুষ এটাকে সত্যি সংবাদ ভেবে শেয়ার করছিলো। এর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ‘গুজবে কান দেবেন না’ গ্রুপ থেকে ছাত্রলীগের নামের পরিবর্তে ছাত্রশিবির করে দেয়া হয়। তখন ভুল ভাঙে অনেকের।

এ প্রসঙ্গে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বার্তা সংস্থা পিবিএ’কে বলেন , “এটা প্রযুক্তির সোনালী যুগ। ফটোশপের মাধ্যমে যে কোন কিছু করে ফেলা সম্ভব এ সময়ে এসে। কিন্তু প্রযুক্তির এই দ্রুত গতির সাথে তাল মিলিয়ে বাড়ে নি অনেকের প্রযুক্তি জ্ঞান। ফলে তারা এডিট করা স্ক্রলকেই সত্যি ভেবে শেয়ার দিচ্ছিলো। এগুলো দেখার পর সাধারণ চোখে মেজাজ গরম হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দোষটা আসলে প্রযুক্তির উৎকর্ষতা সম্পর্কে না জানা ওই মানুষগুলোর না, দোষ হচ্ছে সরকারবিরোধী সেই শিক্ষিত মানুষগুলোর, যারা প্রযুক্তির অপব্যাবহার করে সাধারণ মানুষগুলোকে বোকা বানাচ্ছে। এদেরকেও প্রযুক্তি বিদ্যার আওতায় আনতে হবে। এটার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় নিরলস প্ররিশ্রম করে যাচ্ছে। কিন্তু রাতারাতি তো আর কাউকে প্রযুক্তিবিদ বানানো সম্ভব নয়। এজন্যই এই গ্রুপটি খোলা হয়েছে। এটার মাধ্যমে আমরা ভুয়া খবরগুলোর বিপরীতে সত্য খবর উপস্হাপন করি। তখন মানুষ তার ভুল বুঝতে পারে”।

এই গ্রুপ থেকে কতটুকু সুফল পাওয়া গেছে জানতে চাইলে জাকির বলেন, ‘আমরা বেশ সুফল পেয়েছি। কোটা আন্দোলনের সময় বিভিন্ন অপপ্রচার রুখে দিয়েছি। নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময়ে ছড়ানো গুজবও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছি সাধারণ মানুষকে। মানুষ এখন আস্তে আস্তে বুঝতে শিখছে কোনটা সত্যি আর কোনটা অহেতুক অপপ্রচার”।

শুধু মাত্র ছাত্রলীগের কর্মীরাই নয় এই গ্রুপটায় এখন মেম্বার হিসেবে বিভিন্ন পেশার সচেতন মানুষরাও রয়েছে বলে জানান ছাত্রলীগের সাবেক এই সাধারণ সম্পাদক। সরকারের ভুলগুলোর গঠনমূলক সমালোচনা প্রত্যাশা করে তিনি সবাইকে অনুরোধ জানান গুজব রটনাকারীদের প্রতিহত করতে।

পিবিএ/এমএস

আরও পড়ুন...