গুরুতর অপরাধে মিজানকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে কুয়েত

পিবিএ, কুয়েত: অবশেষে প্রবাসী মিজান আল রহমানকে গুরুতর অপরাধের দায়ে কুয়েত প্রশাসন বুধবার রাত ৮.৩০ মিনিটের এয়ার এরাবিয়া ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে। উল্লেখ্য গত ১০অক্টোবর মিজানকে কুয়েতস্থ ফারওয়ানিয়া এলাকার একটি বাসা থেকে ফিলিপিনো মেয়ের সাথে অবৈধভাবে মেলমেশা করা অবস্থায় গ্রেফতার করে কুয়েত পুলিশ। পরে আটক মিজানকে ডেপুটিশন সেন্টারে প্রেরণ করা হয়। প্রবাসী মিজানের ব্যাপারে সরেজমিনে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পাসপোর্ট থেকে পাওয়া যায় তার সত্যিকার ঠিকানা ও নাম । মোঃ মিজানুর রহমান এর বাড়ি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার পূর্ব এখলাছ পুর গ্রামে। তার বাবার নাম মোস্তফা কামাল।

ফিলিপিনো মেয়ের সাথে অবৈধভাবে মেলমেশায় আটক মিজানকে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে কুয়েত

মিজানকে বিভিন্ন পরিচয়ে চেনে প্রবাসীরা (সাংবাদিক, দূতালয়ের কর্রমচারী, মডেল, বডি মিজান) যাহা সম্পুর্নই ভুয়া । কিন্তু মিজান একদিকে ছিলেন নারী লোভী। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীমূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগ পাওয়া গিছে । অভিযোগ রয়েছে গত ১০ মাস আগে দূতাবাস ভাংচুড়ের ঘটনায় শ্রমিকদের উস্কানি দিয়েছিলো মিজান। এদেকে মিজানকে আটকের পর তার মুঠোফোন সিআইডি তদন্তে নিলে বেরিয়ে আসে বেশ কিছু দেশদ্রোহী মূলক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তথ্যগুল দূতাবাসের কাছে ইতিমধ্যে হস্তান্তরও করা হয় বলে জানিয়েছেন দূতাবাসের এক সিনিয়র কর্মকর্তা । মিজান দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশ সরকারের নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে প্রবাসীদের মধ্যে। দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হতে শুরু করে নিম্নস্থ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করাই ছিল মিজানের মুখ্য উদ্দেশ্য।

অনুসন্ধানে জানা যায় মিজান নিজ কর্মস্থলের কাজ ফেলে দূতাবাসের আসে পাশে ঘুরাফেরা করত। বাংলাদেশ দূতাবাসকে সবসময় কিভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে রাখা যায় সে নীলনকশায় মেতে উঠেছিল মিজানুর রহমান। তবে ধারনা করা হচ্ছে মিজানকে একটি কুচক্র মহল দ্বারা পরিচালিত হত। মিজানের এই অপকর্মে লিপ্ততা রীতিমত বাঙ্গালী কমিউনিটিকে হতবাক করে সেই সাথে তার অনৈতিক কর্মকান্ডে প্রবাসীরা ধিক্কার জানায়।

পিবিএ/বাখ

 

আরও পড়ুন...