পিবিএ,গোপালগঞ্জ: স্বাধীনতার ৪৭ বছর পার হলেও গোপালগঞ্জের মধুমতি বাওড়ে একটি ব্রীজের অভাবে যাতায়েতের দূর্ভোগে পড়তে হত কাশিয়ানীর রাতইল ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। দূর্ভোগ লাঘবে সরকারি উদ্যোগ না থাকায় অবশেষে এলাকাবাসীর উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ সাধারন জনগণকে নৌকায় মধুমতি বাওড় পার হয়ে হাট-বাজার, ব্যাংক, অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে হয়।
তবে সড়ক পথে যাতায়াত করতে হলে প্রায় ১২ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয়। অথচ দুই উপজেলার এলাকাবাসী সংযোগস্থল মধুমতি বাওড় পার হয়েই খুব অল্প সময়ে বৃহত্তম পশুরহাট, পরানপুর বাজার ও রাতইল ইউনিয়ন পরিষদে যাতায়াত করতে পারে।
কিন্তু সরকারী ভাবে দূর্ভোগ লাঘব করা না হলেও রাতইল ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য রিজাউল মোল্যার তত্ত্বাবধানে ওই মধুমতি বাঁওড়ের উপর একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। এরফলে এতদিকে যেমন যাতায়েতের পথ কমেছে অন্য দিয়ে দীর্ঘদিনের দূর্ভোগ লাঘব হয়েছে। এলাকার মোস্তফা মিনা বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা নৌকায় বাঁওড় পাড় হয়ে কাশিয়ানী সদরে যাতায়াত করে আসছি। পারাপারের এ দূর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে আমরা সম্মিলিতভাবে অর্থ ও বাঁশ তুলে মধুমতি বাওড়ের উপর সাঁকোটি তৈরি করেছি। এতে দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের দূর্ভোগ লাঘব হয়েছে।
রাতইল ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য রিজাউল মোল্যার বলেন, স্থানীয়দের সহায়তায় মধুমতি বাঁওড়ের উপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। এতে দীর্ঘ ৪৭ বছরের যাতায়াতের
দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে। রাতইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বি.এম হারুন অর রশিদ (পিনু) জানান, স্থানীয়দের নিজস্ব উদ্যোগে বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়েছে। এখাতে কোন বরাদ্দ না থাকায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন আর্থিক সহযোগিতা করা সম্ভব হয়নি। তবে সাঁকোটি নির্মান করায় তিনি এলাকাবাসীকে স্বাগত জানান।
কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এস.এম মাঈন উদ্দিন বলেন, আমি এলাকাবাসীর উদ্যোগে সাঁকো নির্মাণের বিষয়টি শুনেছি। এই মহৎ কাজের সাথে জড়িতদের সাধুবাদ জানাই।
পিবিএ/বিএস/জেডআই