গৌরীপুরে নদী গর্ভে বিলীন অর্ধ শতাধিক ঘরবাড়ি ও ফসলী জমি

পিবিএ,গৌরীপুর(ময়মনসিংহ): ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরিয়া নদীতে বৃষ্টির পানিসহ উজানের বয়ে আসা পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পানিতে সুরিয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবারও নদী ভাঙনের কবলে কুমড়ী গ্রাম। নদী খনন না হওয়ার ফলে নদীর গতিপথ হারাচ্ছে। এতে বিপর্যয় ঘটছে পরিবেশও জীব-বৈচিত্র্যের। বিনষ্ট হচ্ছে বসত বাড়ি। গত বছরেও অনেক ফসলি জমি রাস্তাসহ এই নদীর ভাঙনে বিলিন হয়ে গেছে। বর্তমানে সুরিয়া নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঘর বাড়ি।

স্থানীয়রা মনে করছেন নদী ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে কয়েকশ একর আবাদি জমিসহ ভিটেহীন হয়ে পড়বে প্রায় অর্ধ শতাধিক পরিবার। (১০) সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা এমন চিত্রই দেখা গেছে। উল্লেখিত ইউনিয়ের নয়ানগর গ্রামের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঈদগাহ মাঠ, বসতবাড়ি ও কুমড়ী গ্রামের পশ্চিম পাড়ার রাস্তাসহ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে কয়েক একর আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে । কুমড়ী গ্রামের নদীর পাড়ের বাসিন্ধা শামীম,সুমন,শামছুল আলম,আবুল হাসেম , সাইফুল ইসলাম, রমজান,

মজিদ, আব্দুল্লাহ, আল আমিন, কাশেম,এখলাছ মিয়া,কামরুল সিরাজ,লিটন,মিরাজ,ইদ্রিস, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত আব্দুল কাদির, মাওহা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মতিউর রহমান (এন্টেশ মিয়া) সহ আরও নাম না জানা অনেকেই পরিবার নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় নদীর পারে দিন যাপন করছে।।

কুমড়ী গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য মোঃ মতিউর রহমান (এন্টেশ মিয়া) জানান আমার আবাদি জমি সুরিয়া নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এমনকি আমার বসত ঘরটি অর্ধেকের বেশী নদী গর্ভে চলে গেছে। তাই ঘরটি তাড়াতাড়ি সরিয়ে অন্য জায়গায় বাড়ি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাড়ির জায়গাটুকু নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ঐ গ্রামের বাসিন্দা শামীম, রতন,সুমন, জানান সুরিয়া নদীর পাড়ে অর্ধ শতাধিক পরিবারের বসবাস । আমাদের ফসলী জমি যা ছিল এই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখন বাড়িটিও নদীতে ভেঙ্গে যাওয়ার পথে। আমাদের মত অনেকের ফসলী জমি নদী গর্ভে চলে গেছে ,যদি নদী ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে ফললি জমি বাড়ি ঘর, বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে ।

স্থানীয়রা জানান যে জায়গায় নদীটি বাকা দিয়েছে সেই জায়গায় যদি কেউ ১০০ ফুটের মতো বাঁধ৷ দিয়ে দিতো তাহলে এ ভাঙ্গন থেকে আমরা রক্ষা পেতাম। এ বিষয়ে ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মুসা’র ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি জানান
জিপিপি তৈরি করে সংশ্লিষ্ঠ মন্ত্রনালয়ে প্রস্তার আকারে পাঠানো হয়েছে অনুমোদন পেলে নদী ভাঙ্গনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পিবিএ/মো. হুমায়ুন কবির/এসডি

আরও পড়ুন...