পিবিএ ডেস্ক: চিকিৎসার জন্য বিদেশমুখী প্রবণতা কমাতে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ওপর জনগণের আস্থাকে আরও মজবুত করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করবে বলে মন্তব্য করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের (ঢামেক) শহীদ মিলন হল মিলনায়তনে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ এবং শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক মানুষের কাছে মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার ওপরও সরকার গুরুত্ব দেবে। তবে গ্রামে যদি চিকিৎসক না থাকে তবে সরকারের সব উদ্যোগ ব্যর্থ হয়ে যাবে।
নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী ৬৫ বছরের বেশ সব ব্যক্তির জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শিগগিরই এ লক্ষ্যে কাজ শুরু করবে সরকার।’
তিনি বলেন, ‘প্রতি বিভাগে ক্যানসার হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালে ১০ শয্যাবিশিষ্ট কিডনি ইউনিট স্থাপন করা হবে। সমগ্র বিশ্বের মতো বাংলাদেশকেও অসংক্রামক রোগের ব্যাপকতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। দেশে ক্যানসার, কিডনিজনিত রোগ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস রোগের প্রকোপ বাড়ছে।’ প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওপেন হার্ট সার্জারির সুযোগ সৃষ্টি করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও তিনি ঘোষণা দেন।
নতুন শিক্ষার্থীদের এমবিবিএস ক্লাস শুরুর আগে নেওয়া শপথের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে জাহেদ মালিক বলেন, ‘সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে রোগীর সেবায় আত্মনিয়োজিত হতে হবে। কারো প্রতি বৈষম্য না দেখিয়ে সেবাদানের মানসিকতা গড়ে তোলাই চিকিৎসকদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।’
ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে অবস্থান করে সেবা প্রদানে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বড় বড় হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু গ্রামে যদি চিকিৎসক না থাকে তবে সরকারের সব উদ্যোগ ব্যর্থ হয়ে যাবে।’
অনুষ্ঠানে ঢামেক অধ্যক্ষ এমবিবিএস কোর্সের ৭৬ ব্যাচের নতুন শিক্ষার্থীদের শপথ পাঠ করান। ঢামেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব জিএম সালেহ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ এবং ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জে. নাসির উদ্দিন বক্তৃতা করেন।
পিবিএ/এসআই