গ্রেফতার আতংকে পুরুষ শূন্য গোপালগঞ্জের কাটালীপাড়া

পিবিএ গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় লুডু খেলা নিয়ে সংঘর্ষের জেরে থানায় পৃথক দু’টি মামলা হওয়ায় গ্রেফতার আতংকে প্রায় অর্ধশত পরিবার পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। এসব পরিবারের মহিলা ও শিশুরা এক ধরণের ভিতির মধ্যে দিয়ে সময় পার করছেন। অপরদিকে উভয় পক্ষের আসামীরা জামিনে এসে আবারও সংঘর্ষে লিপ্ত হতে পারে বলে আশংকা করছে এলাকাবাসী।

জানাগেছে, চলতি মাসের ৮ তারিখ সন্ধ্যায় উপজেলার লোহারংক গ্রামের আলামীন শেখের ছেলে মোরছালিন শেখ (২০) ও একই গ্রামের জালাল মোল্লার ছেলে ইমন মোল্লা (১৮) টাকা দিয়ে বাজি ধরে মোবাইল ফোনে লুডু খেলছিল। এ সময় এলাকার মহিলা মেম্বার রাশিদা বেগমের ছেলে সজিব শেখ (২০) ওই দুই যুবককে টাকা দিয়ে বাজি ধরে লুডু খেলতে নিষেধ করে। এ সময় মোরছালিন শেখ ও ইমন মোল্লা মিলে সজিবকে মারধর করে। পরবর্তীতে এ বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে মহিলাসহ প্রায় ২০জন আহত হয়। এদের মধ্যে মুক্তা বেগম (২৪), সায়েদুল শেখ (৪৫), জালাল শেখ (৬০), হাসিবুর শেখ (২০), আতিয়ার শেখ (৫৫), ফেরদাউস শেখ (২০), রিপন শেখ (৩০), সুলতান শেখ (৭০), আলামীন শেখকে (৪০) উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় ওই দিনই রাতে উভয় পক্ষ থেকে আলাদা আলাদাভাবে কোটালীপাড়া থানায় দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকে উপজেলার হিরন ইউনিয়নের লোহারংক গ্রামের প্রায় অর্ধশত পরিবার পুরুষ শূন্য হয়ে পড়ে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন এলাকাবাসী পিবিএ’কে জানান, মোরছালিন, ইমন ও সজিবসহ এদের বন্ধু- বান্ধব মাদক, ক্রিকেট ও লুডু জুয়াসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত। এদের কারণে এলাকায় শান্তি নষ্ট হচ্ছে। এদের সংঘর্ষের কারণে থানায় আলাদা দুটি মামলা হয়েছে। এই মামলার কারণে গ্রেফতারের ভয়ে প্রায় অর্ধশত পরিবার পুরুষ শূন্য রয়েছে। দুই পক্ষের আসামীরা জামিনে এসে আবার সংঘর্ষে লিপ্ত হতে পারে।

মহিলা মেম্বার রাশিদা বেগম পিবিএ,কে বলেন, মোরছালিন ও ইমন আমার ছেলেকে অন্যায় ভাবে মারধর করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।

এ বিষয়ে জানার জন্য মোরছালিন ও ইমনদের বাড়িতে গিয়ে তাদের পাওয়া যায়নি। তবে মোরছালিনের চাচি হ্যাপি বেগম বলেন, মহিলা মেম্বারের ছেলে ও তাদের লোকজন আমাদের মারধর করে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।

কোটালীপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো: জাকারিয়া পিবিএ’কে বলেন, দু’টি মামলার উভয় পক্ষের ৪জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং ওই এলাকার আইনশৃঙ্খলা যাতে অবনতি না ঘটে সে জন্য আমরা তৎপর রয়েছি।

পিবিএ/বিএস/হক

আরও পড়ুন...