গ্লোবাল সেইফ সিস্টেম এপ্রোচ’র আলোকে ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রয়োজন

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ৫-২৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর প্রধান কারণ রোডক্র্যাশ বা সড়ক দুর্ঘটনা। সড়ক দুর্ঘটনা রোধ এবং মৃত্যু ও আহতের হার অর্ধেকে নামিয়ে আনতে প্রয়োজন গ্লোবাল সেইফ সিস্টেম এপ্রোচের আলোকে একটি সড়ক নিরাপত্তা আইন।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের আয়োজনে গ্লোবাল সেইফ সিস্টেম এপ্রোচের আলোকে একটি সড়ক নিরাপত্তা আইনের দাবিতে তরুণদের জন্য অনুষ্ঠিত কর্মশালায় এ কথা বলা হয়।

অনুষ্ঠানে সড়ক ব্যবহারকারী পাঁচটি আচরণগত সমস্যার বিষয়ে আলোকপাত করেন আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংয়ের সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহা। এ ছাড়াও সড়ক নিরাপত্তায় তরুণদের ভূমিকা সংক্রান্ত বক্তব্য রাখেন নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সভাপতি আব্দুল্লাহ মেহেদী দীপ্ত ও সাধারণ সম্পাদক তানজিদ মোহাম্মদ সোহরাব রেজাসহ বিভিন্ন ইয়ুথ ফোরামের প্রতিনিধিগণ।

বক্তারা বলেন, বর্তমান যে আইনটি রয়েছে পরিবহনকেন্দ্রিক, এ আইনে সড়ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলো একেবারেই অনুপস্থিত। তাই প্রয়োজন একটি সড়ক নিরাপত্তা আইন ও এর বাস্তবায়ন। এ সময় পাঁচটি পিলার তথা বহুমুখী যানবাহন ও ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা, নিরাপদ যানবাহন, নিরাপদ সড়ক অবকাঠামো, নিরাপদ সড়ক ব্যবহার ও রোডক্র্যাশ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে ও রোড সেফটি প্রকল্প সমন্বয়কারী শারমনি রহমানের সঞ্চালনায় কর্মশালায় সেইফ সিস্টেম এপ্রোচ এবং সড়ক নিরাপত্তা আইনের দুর্বল দিকগুলোর ওপর আলোচনা করেন গ্লোবাল রোড সেফটি পার্টনারশিপ আইএফআরসি’র গ্র্যান্টস ম্যানেজার তাইফুর রহমান। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণে তরুণরা কিভাবে নিজেদেরকে অন্তর্ভূক্ত করতে পারে সে বিষয়ে আলোকপাত করে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের পরিচালক মারভিন ক্রিস্টিয়ান এবং নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা পদ্ধতির ওপর বক্তব্য রাখেন গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর ড. শরিফুল আলম।

এ সময় নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং, ইয়ুথ পলিসি ফোরাম, বাংলাদেশ মেডিকেল স্টুডেন্ট সোসাইটি, মিশন গ্রিন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশন, উই ক্যান কক্সবাজারসহ বিভিন্ন ইয়ুথ ফোরামের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন...