ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে পার্টনারকে যে কথা বলবেন না?

পিবিএ ডেস্কঃ বিধ্বস্ত সম্পর্কে প্রাণ ফেরাতে অনেক কাপলই সঙ্গমকে বেছে নেন। সম্পর্কের মলিনতা মুছে ফেলতে রতিসুখই আসল চাবিকাঠি। এমন ধারণা অনেকেরই। কিন্তু দিনের শেষে ক্লান্ত সঙ্গীটির সঙ্গমে লিপ্ত হতে ইচ্ছে নাও করতে পারে। সঙ্গম ছাড়াও এমন অনেক বিষয় থাকে যা বিছানায় সঙ্গীকে কাছে টানতে পারে। কিছু আলোচনা যা নতুন করে সম্পর্কে গভীরতা আনে। আর কিছু বিষয় যা বিছানা পর্যন্ত না টেনে আনাই ভাল। যে কথাগুলি সম্পর্কে সমস্যা তৈরি করতে পারে, সেগুলি নাহয় বেডরুমের বাইরেই থাক।

প্রাক্তন প্রেমঃ বর্তমান সঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় পুরনো প্রেম নিয়ে আলোচনা না করাই ভাল। এতে অনেকে ক্ষুব্ধ হন, অনেকে অভিমান করেন তো অনেকের আবার মন খারাপ হয়ে যায়। তাই অতীত ভুলে বর্তমান নিয়ে থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। পুরনো সঙ্গীটি কী করেছিল না করেছিল, তা আলোচনা করে নিজেদের ভালবাসার সময় নষ্ট করবেন না।

কর্মস্থলের কথাঃ দিনের শেষে সঙ্গী ক্লান্ত সঙ্গী যখন বাড়ি ফেরেন, তখন ভাবুন তাঁকে কীভাবে রিল্যাক্স করা যায়। সারাদিনের কুটকচালি নাড়াচাড়া করলে মেজাজ খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। কর্মস্থলে কী হল না হল সেসবের জন্য তো আরও সময় রয়েছে। বেডরুমে সে আলোচনা থেকে নাহয় বিরতই থাকুন। বরং কিছু দুষ্টু মিষ্টি ভাললাগা, ভালবাসার কথা বলুন। সঙ্গীর প্রশংসা করুন। এতে পার্টনার অনেক স্বস্তি অনুভব করেন।

পারিবারিক সমস্যাঃ স্বামী-স্ত্রী ও প্রেমিক-প্রেমিক উভয় ক্ষেত্রেই এ আলোচনা ভালবাসায় তাল কাটে। শ্বশুর-শ্বাশুড়ির কোন কথা আপনার খারাপ লেগেছে, কিংবা বিয়ের পর বাবা-মার সঙ্গে থাকবেন না আলাদা, এসব বিষয় মাথায় ঢুকলেই মনকষাকষি, বচসা শুরু হয়। বিছানায় শুয়ে পার্টনারকে সেসব নিয়ে নালিশ না করে তাকে খুশি করার চেষ্টা করুন। সুস্থ ও স্বাভাবিক আড্ডা-গল্প মন ও শরীর দুইই ফুরফুরে রাখে।

সন্তানঃ এই সমস্যা দম্পতিদের নিত্যদিনের ব্যাপার। উভয়েই সন্তান নিতে সম্মত কিনা তা খাবার টেবিলে অথবা অন্য সময় আলোচনা করুন। সঙ্গমে লিপ্ত হয়ে এ ভাবনা দূরে রাখাই শ্রেয়। এতে একে অপরের প্রতি আকর্ষণ ও ভালবাসা বজায় থাকে।

যৌনাঙ্গের মাপঃ বিছানায় পরস্পরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় পুরুষ সঙ্গীর যৌনাঙ্গের মাপ নিয়ে মুখ খুলবেন না। হ্যাঁ, তা যদি প্রশংসার কথা হয়, তাহলে কোনও সমস্যা নেই। একইভাবে মহিলা পার্টনারের স্তনের আকার বা মাপ নিয়ে শুধু প্রশংসার কথাই বলুন। নাহলে অন্য আলোচনা করুন। এসব আলোচনা থেকে বিরত থাকলে সঙ্গম ছাড়াও সম্পর্কের টানটা থেকেই যায়।

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...