উত্তম কুমার হাওলাদার,কলাপাড়া (পটুয়াখালী): বছরের প্রথম সূর্যোদয় কে স্বাগত ও নতুন বছরকে বরণ করতে সাগরকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভীড় জমিয়েছে হাজারো পর্যটক। রবিবার (১ জানুয়ারি) কাকডাকা ভোরে সৈকতের জিরো পয়েন্ট, ঝাউবন, গঙ্গামতি, লাল কাকড়ার চর ও গঙ্গামতিতে ভীড় জমায় পর্যটকরা। তবে ঘন কুয়াশায় পূবের আকাশে সূর্যোদয় উপভোগ করতে না পারলেও সকালের প্রকৃতি দেখে মুগ্ধ হয়েছে তারা।
এছাড়া এসব পর্যটক শনিবার থার্টি ফাস্ট নাইটে সৈকতে আতশবজির মধ্য দিয়ে বর্ষবরণ করে নিয়েছে। দেশর বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকরা মেতেছিলো। এদের মধ্যে কেউ কেউ আকাশে একের পর এক ফানুষ উড়ায়। এমন দৃশ্য আবার অনেকে স্মার্ট ফোন দিয়ে সেলফি তুলে ধারণ করেছে। তবে কুয়াকাটার কিছু কিছু অভিযাত হোটেলে থার্টিফাস্ট নাইট কনসার্ট, বারবিকিউ পার্টির আয়োজন করেছে বলে জানা গেছে। এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোতে মোতায়েন রয়েছে ট্যুরিষ্ট পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, কুয়াকাটায় প্রায় দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকতে দাড়িয়ে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখা যায়। তাই পর্যটকরা বারবার ছুটে আসেন। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার কারণে দর্শনীয় স্পটগুলোতে পর্যটকদের উচ্ছাসিত উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মত। অধিকাংশ হোটেল মোটেল ছিলো বুকিং। বাড়তি পর্যটকদের আনাগোনায় প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। পর্যটকরা বলেছেন, বেশ আনন্দ উল্লাস করেছি। সবক’টি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। ভালই লেগেছে। তবে এখানকার হোটেল ভাড়াটা একটু বেশি। এছাড়া খাবার রেস্তোরাগুলোর খাবারের মান তেমন ভালো ছিল না বলে পর্যটকদের আভিযোগ।
পর্যটক শামীম বেপারি তার প্রতিক্ষীত সূর্যাস্ত দেখতে না পেরে পরিবারের সবাইকে নিয়ে দর্শনীয় স্পট লাল কাঁকড়ার চর, তিন নদীর মোহনা, শুটকী পল্লীসহ পর্যটন স্পটে ঘোরাঘুরি করেছেন। এসময় তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, অনেক আশা ছিল বছরের প্রথম সূর্যোদয় দেখার। কিন্তু কুয়াশা থাকায় সে সুযোগ হয়নি। পর্যটক অবির হাসান বলেন, থার্টি-ফাস্ট নাইট উজ্জাপন করতে কুয়াকাটায় এসে বন্ধুদের সাথে বেশ আনন্দ করেছি। মুলত সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু ঘন কুয়াশার করানে তা উপভোগ করতে পারেনি। তবে শীতের সকালে প্রকৃতি দেখে মুগ্ধ হয়েছি।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কুটুম’র সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন,পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সাপ্তাহিক ছুটিসহ সরকারি ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকের আগমন বেশি হচ্ছে। থার্টিফাস্ট নাইট উপলক্ষে ব্যাপক পর্যটকের চাপ ছিলো। তবে সাপ্তাহিক ছুটি শেষ হওয়ায় কুয়াকাটা পর্যটকের সংখ্যা কিছুটা কমতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।
মহিপর থানার ওসি খন্দকার আবুল খায়ের বলেন, প্রতিদিনই থানা পুলিশের টিম পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক সাংবাদিকদের বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ টিম সার্বক্ষনিক জিরো পয়েন্টসহ দর্শনীয় স্থানগুলোতে নিয়োজিত রয়েছে।