ঘরেও করুন রিসাইকেল!

home-recyle-PBA

পিবিএ ডেস্ক: বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আমাদের কম-বেশি সবার ধারণা আছে। এটি পরিবেশ, মানুষ ও প্রাণীর জন্য উপকারী। এক সপ্তাহে শহরের বাইরে পতিত স্থলভাগে যে পরিমাণ ময়লা -আবর্জনা জমে, তা বৃষ্টিতে ধুয়ে পানিতে মিশে যায়। এতে দূষিত হয় বায়ুমণ্ডল। উন্নত দেশগুলোয় রিসাইকেল সেন্টার বা পুনর্ব্যবহারকেন্দ্র রয়েছে। সেখানে ইলেকট্রনিক উপকরণ, ব্যাটারি, ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়ামের কৌটা, মোটর তেল, ধ্বংসাবশেষ, কাগজ, প্লাস্টিক ইত্যাদি প্রক্রিয়াজাত করে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে ব্যবস্থাপনা এখনো অতটা উন্নত হয়ে ওঠেনি। সেক্ষেত্রে পরিবেশ রক্ষায় কী করে কম বর্জ্য উৎপাদন ও পণ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা যায়, সে কথা ভাবা যেতে পারে। যেমন কেনাকাটা করার আগে চিন্তা করুন কী উপায়ে আপনি জিনিসপত্র ব্যবহার কমাতে পারেন। এমন পণ্য কিনুন, যাতে অতিরিক্ত মোড়ক দেয়া নেই। খুব প্রয়োজন ছাড়া সেসব পণ্য কিনবেন না। এতে বাড়ির ময়লার ঝুড়িতে কমে যাবে কাগজ এবং প্লাস্টিকের প্যাকেট ও কার্ডবোর্ডের বাক্স। সাধারণত একটা পণ্য কিনতে যে টাকা ব্যয় হয়, তার ১৬ শতাংশই হয় প্যাকেজিংয়ের পেছনে। অথচ বাড়িতে আনার পর সেগুলো আমরা স্বাভাবিকভাবে ফেলেই দিই। খাদ্যদ্রব্য কেনার সময় শস্যজাতীয় উপকরণগুলো প্যাকেটজাত না কিনে খোলাভাবে কিনুন ও বয়ে আনার জন্য চটের ব্যাগ অথবা একাধিকবার ব্যবহার করা যায়, এমন একটি ব্যাগ ব্যবহার করুন। অন্যদিকে ডিটারজেন্ট ও পরিষ্কারক কেনার সময় লেবেল পড়ে দেখুন, তা পরিবেশের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ কিনা।

শুধু পণ্য কেনা নয়, তা সঠিকভাবে ব্যবহার করার ওপরও নির্ভর করে পরিবেশ কতটা ভালো থাকবে। ডিসপোজেবল বা একবার ব্যবহার করেই ফেলে দিতে হয়, এমন পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকুন। ডিসপোজেবল পণ্য ব্যবহার সুবিধাজনক হতে পারে, কিন্তু পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণগুলো পরিবেশের জন্য ভালো ও কম খরচে কিনে বহুদিন ব্যবহার করা যায়। প্লাস্টিক ও কাচের কৌটায় সেসব খাবার আমরা কিনি, যেমন জেলি, আচার, মাখন ইত্যাদি খাওয়া শেষ হয়ে গেলে কৌটাটি ফেলে না দিয়ে তা ঘর সাজানোর উপকরণ তৈরিতে অথবা শিশুদের আর্ট প্রজেক্টে ব্যবহার করুন। আলমারিতে জমে থাকা এমন অনেক কাপড় আছে, যা পরাও হচ্ছে না, আর অযথা আলমারির জায়গাও দখল করে রয়েছে। সেক্ষেত্রে কাপড়গুলো কোনো দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দেয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন। এতে পরিবেশ ও সমাজ উভয়ের প্রতিই দায়িত্ব পালন হবে।

আরেকটি কথা আমরা অনেকেই জানি না যে ফেসিয়াল টিস্যুর পরিবর্তে সুতির রুমাল ব্যবহার করা অনেক বেশি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব। টিস্যু পেপার ব্যবহার সুবিধাজনক, তবে তা বর্জ্যের পরিমাণ বাড়ায় ও পরিবেশ দূষণ করে।

পিবিএ/এফএস

আরও পড়ুন...